মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সমীপে বাংলাদেশ বেকারত্ব মুক্তি আন্দোলন-বিএমএ চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুশিউর রহমান এর খোলা চিঠি।

বরাবর
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

বিষয়ঃ প্রাথমিক গণ শিক্ষা অধিদপ্তরের ২০১৪ সালের সার্কুলারে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে বাদপড়া প্রার্থী দের বিশেষ বিবেচনায় নিয়োগের আবেদন।
জনাব

যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে , আমরা নিম্ন আবেদন কারীগন হতভাগা শিক্ষিত বেকার। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে র শিকার হয়ে আজ বেকারত্বের গ্লানি নিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে দূর্বিসহ জীবন অতিবাহিত করছি। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড , এই দীক্ষায় দীক্ষিত হয়ে শিক্ষকতা পেশার মহান দায়িত্ব নেয়ার প্রবল আগ্রহ থেকে ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আশায় আবেদন করেছিলাম। যথারীতি লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও মামলা জনিত কারণে উক্ত নিয়োগ স্থগিত হয়ে যায়। উল্লেখ্য যে পরবর্তী চার বছর আর সার্কূলার না হওয়ায় আমরা আবেদন করতে পারিনি। ইতিমধ্যেই আমাদের অনেকের, সরকারী চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা শেষ হয়ে যাওয়া ই আমরা ২০১৮ সালের সার্কুলারে আবেদন করতে পারিনি। পরবর্তীতে অধিদপ্তর ২০১৪ সালের স্থগিত নিয়োগ প্যানেল থেকে ৯৭৬৭ জনকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রদান করে। যদিও সে সময় ২৯৫৫৫ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। তখনকার শূন্য পদের বিপরীতে ১০০০০ জনকে নিয়োগ দেওয়া র কথা থাকলেও ৯৭৬৭ জনকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়। বাকি ২৩৩ জন কে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হলে ক্রম অগ্রসর প্যানেল থেকে আমরা ২৩৩ জন শিক্ষক হওয়ার গৌরব থেকে বঞ্চিত হই।

এমতাবস্থায় মানবতার জননী দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সমীপে ভাগ্য বঞ্চিত এই বেকারদের আকুল আবেদন , করোনা পরিস্থিতি তথা বেকারত্ব জীবন নিয়ে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে দূর্বিসহ জীবন অতিবাহিত করছি যাহা অবর্ণনীয়।

অত এব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সমীপে আমাদের আকুল আবেদন উপরোক্ত বিষয়ে আপনার সদয় সহানুভূতি ও মানবিক বিবেচনায় গ্রহণ করে চির কৃতজ্ঞতার বন্ধনে আবদ্ধ করিবেন।
বিনয়াবনত

২০১৪ সালের ভাগ্য বিড়ম্বনার শিকার
কর্ম অগ্রসর প্যানেল থেকে
২৩৩ জন সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রার্থী।

আমাদের বাণী ডট কম/১৪জুন ২০২০/ডিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।