প্রশ্নফাঁসের সাথে জড়িত ইডেন কলেজের নেত্রী আঞ্জুমান আরা অনুকে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহ-সম্পাদক পদে দেওয়া হয়েছে। একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানানো হয়, তিনি ইডেন কলেজ কেন্দ্র থেকে নিয়োগ পরীক্ষা ও ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করতেন। এছাড়া প্রথম সারির কয়েকটি অনলাইন গণমাধ্যমেও তার বিরুদ্ধে একই অভিযোগে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা যায়, আঞ্জুমান আরা অনু ইডেন কলেজের গণিত বিভাগের ২০০৮-০৯ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৬ সালে তার ছাত্রত্ব শেষ হয়। তারপরও ওই বছরের ১ নভেম্বর কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটিতে তিনি যুগ্ম-আহ্বায়কের দায়িত্ব পান। ওই পদে থাকাকালীন সময়ে তিনি বিয়ে করেন এবং সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক প্রকাশও করেছেন। তবুও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পেয়েছেন পদ। এমন কি বিয়ে করার বিষয়টিও তিনি নিজ মুখে স্বীকার করেছেন।

ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ৫-এর ‘গ’ ধারা অনুযায়ী বিবাহিত ব্যক্তি কমিটিতে স্থান পাবেন না। অথচ সদ্যঘোষিত ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পাওয়া অনেকের ক্ষেত্রেই এই ধারা অনুসরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আঞ্জুমান আরা অনু বলেন, আমার বিয়েটা তো উন্মুক্ত, আমি তো গোপন করে বিয়ে করিনি। আমাদের পার্টিতে মেয়েদের রাজনীতির সুবিধার্থে অনেক নিয়মই শিথিলযোগ্য। তার ভেতর মেয়েদের বিয়ের বিষয়টিও শিথিলযোগ্য। কিছু কিছু বিশেষ বিষয়, একটা মেয়ে যদি রাজনীতি অনেক ভালোবাসে, অনেক পরিশ্রম করে, সেক্ষেত্রে কিছু কিছু নিয়ম ওভারলুক করা হয়।

একাধিক অভিযোগ থাকার পরও অনু ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহসম্পাদকের পদ পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির একাধিক সদস্য। তারা বলেন, আঞ্জুমান আরা অনু বিবাহিত। তিনি মাদকের সঙ্গে যুক্ত—এমন অভিযোগের কথা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারাও জানেন। তবুও তাকে পদ দেওয়া হলো।

বিবাহিত সত্ত্বেও পদ পাওয়ার বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে একাধিক বার ফোন দেওয়া হলেও তারা কল রিসিভ করেননি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।