জাতীয়করণ করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০৩ জন সহকারী শিক্ষকের জন্য প্রধান শিক্ষকের পদ ছয় মাস সংরক্ষিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে ওই সহকারী শিক্ষকদের সম্মিলিত জ্যেষ্ঠতার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বিধিমালার এ ধারা কেন অবৈধ হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) নড়াইল সদরের ১০৩ জন সহকারী শিক্ষকের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম রাহুল ও আইনজীবী সোহরাওয়ার্দী সাদ্দাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, অধিগ্রহণকৃত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (চাকরির শর্তাদি নির্ধারণ) বিধিমালা-২০১৩ এর বিধি ২(গ) অনুসারে সদ্য জাতীয়করণ করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের আত্মীকরণের পূর্বের চাকরিকাল ৫০ শতাংশ গণনা করার বিধান থাকলেও সম্মিলিত জ্যেষ্ঠতার তালিকা তৈরির সময় ওই বিধি না মেনে জ্যেষ্ঠতার তালিকা করা হয়েছে। বিধিমালার ৯(১) এবং ওই তারিখের অব্যবহিত পূর্বে নিয়োগবিধির অধীনে শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত সর্বশেষ ব্যক্তির নিচে সহকারী শিক্ষকদের অবস্থান নির্ধারিত হবে বলে উল্লেখ রয়েছে। যা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

তিনি আরো বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের ফলে ১০৩ জনের জন্য প্রধান শিক্ষকের পদ সংরক্ষিত রাখতে হবে।

নড়াইল সদরের সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, মহিতোষ কুমার, মনোয়ারা পারভীন, সাবিনা খাতুন ও আরেফা খাতুনসহ ১০৩ জন সহকারী শিক্ষক রিট আবেদনটি দায়ের করেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।