ডেস্ক রিপোর্টঃ গত ৬ মাসের নিয়মবহির্ভূত এবং অযাচিত প্রায় ৫ কোটি ভিডিও সরিয়ে ফেলেছে টিকটক। সরিয়ে দেয়া ভিডিওগুলোর এক-চতুর্থাংশ ভিডিও-ই ছিল নগ্নতা এবং যৌন প্ররোচণামূলক।

সরিয়ে ফেলা হয়েছে এমন ৫০০ ভিডিওর তথ্য চেয়েছে মার্কিন সরকার। একই সঙ্গে চীনা এই অ্যাপ ব্যান করার কথাও ভাবছেন তারা।

সম্প্রতি ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট মাইক পম্পে বলেন, টিকটক ব্যবহার করলে নাগরিকদের অনেক ব্যক্তিগত ও গোপনীয় তথ্য চীনের কাছে চলে যেতে পারে। আমরা হয়তো টিকটক কিনে নেব কিংবা টিকটককে আমরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করব। আমরা বিষয়টি খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখছি।

মার্কিন সরকারের ভিডিও তথ্য চাওয়ার খবরকে উড়িয়ে দিয়ে টিকটকের বলছে, সরকার কিংবা পুলিশের পক্ষ থেকে কোন তথ্য চাওয়া হয়নি। এমনকি ভিডিও সরিয়ে নেয়ার জন্য কোন তথ্য জানানো হয়নি।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, টিকটকের মূল প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স চীনের বাইরে কয়েকটি অফিস চালু করার পরিকল্পনা করছে।

বিবিসিকে টিকটক জানায়, বাইটড্যান্স টিকটকের কর্পোরেট কাঠামোর পরিবর্তন করছে। টিকটক ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা এবং সুরক্ষা রক্ষায় আমরা সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। টিকটক এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা সৃজনশীলতাকে অনুপ্রাণিত করে এবং বিশ্বজুড়ে কয়েক কোটি মানুষের হাসির খোরাক যোগায়।

অন্যদিকে ২০১৬ সালে কার্যক্রম শুরুর পর আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে জনপ্রিয় হয়ে উঠে টিকটক। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ৩১৫ মিলিয়ন ডাউনলোড হয়েছে অ্যাপটি। কোন অ্যাপ মাত্র তিন মাসে এতো ডাউনলোড হয়নি।

সম্প্রতি ভারত থেকেও টিকটক নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ভারত মনে করে টিকটকসহ অন্যান্য চাইনিজ অ্যাপ তাদের সার্বভৌমত্বের জন্য বড় হুমকি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।