বাসায় কেউ না থাকার সুবাদে ছাত্রীকে নিয়ে রাত্রিযাপন করেছে এক বয়ফ্রেন্ড। সকালে ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে পালিয়েছে ওই ছাত্র। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে লাশ ওড়না দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। তবে পুলিশ বলছে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।

জানা গেছে, মাদারীপুরের কালকিনিতে বৃহস্পতিবার মালিহা আক্তার নামে ওই ছাত্রীর লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় রাকিব সরদার (২০) নামে এক ছাত্রকে তরুণকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। তিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, ওই ছাত্রীর সঙ্গে রাকিব সরদারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঝামেলা এড়াতে মেয়েকে নিয়ে নোয়াখালীতে ভাড়া বাসায় থাকতেন তার মা। এদিন রাতে তার মা বাসায় না থাকায় মেয়ের সঙ্গে ছিলেন ওই ছাত্র। সকালে ঘরের দরজা খোলা ও ঘরের ফ্যানের সঙ্গে মেয়েটিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

ওই ছাত্রীর খালা বলেন, তার ভাগ্নিকে রাতে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। মূল ঘটনা আড়াল করতে ওড়না দিয়ে তাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন রাকিব। ছাত্রীর মা বলেন, ‘আমার একমাত্র মেয়ে কখনো আত্মহত্যা করতে পারে না। এর পেছনে অন্য কারণ আছে। এই হত্যার পেছনের যারা জড়িত তাদের আমি বিচার চাই।’

অভিযুক্ত রাকিব সরদার বলেন, রাতে একসঙ্গে তাঁরা ছিলেন। কিন্তু তার মৃত্যুর বিষয়টি তিনি জানেন না।

কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই স্কুলছাত্রীর প্রেমিক রাকিবকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

পুলিশ আরও জানায়, ওই ছাত্রী এবার নিয়ে দুবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। সে এবারও পাস করতে পারেনি। এ ছাড়া পারিবারিক কলহের কারণে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।