মাদারীপুর সংবাদদাতা;  জেলার শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে এক গৃহবধূকে দ্রুত শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ফেরি থেকে স্পিডবোটে ‌উঠিয়ে পদ্মা নদীর চরের মধ্যে নামিয়ে দলবেঁধে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত চারজনকে গতকাল বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে শিমুলিয়ার উদ্দেশে ফেরিতে ওঠেন যশোরের ওই গৃহবধূ (২২)। তার স্বামী ঢাকার একটি প্রজেক্টে শ্রমিকের কাজ করেন। কাঁঠালবাড়ি থেকে ফেরিটি ছেড়ে গেলে ফেরির পেছন থেকে একটি স্পিডবোটে যাত্রী ওঠানো হয়।

দ্রুত পদ্মা পার করে দেওয়ার কথা বলে ওই নারীকে স্পিডবোটে ওঠান মাসুদ মোল্লা, মাহবুব মৃধা ও নূর মোহাম্মদ নামের তিন তরুণ। কিছু দূর যাওয়ার পর স্পিডবোটের জ্বালানি ফুরিয়ে গেছে বলে গৃহবধূকে একটি ট্রলারে উঠিয়ে পদ্মার চরে নিয়ে ধর্ষণ করেন তারা। তখন তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যান।

ধর্ষণের শিকার নারী তিন দিন আগে কাঁঠালবাড়ি এলাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। মঙ্গলবার রাতে স্বামীর বাসা কেরানীগঞ্জে যাওয়ার জন্য কাঁঠালবাড়ি থেকে শিমুলিয়ার উদ্দেশে ফেরিতে ওঠেন। সে সময় তার স্বামী শিমুলিয়া ঘাটে তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

গতকাল বুধবার বিকেলে কাঁঠালবাড়ি এলাকায় ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর আত্মীয়স্বজনকে নিয়ে বিষয়টি আপস করার চেষ্টা করেন বখাটেরা। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় শিবচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিষ্ণুপদ হীরা সেখানে গিয়ে ধর্ষণের শিকার নারীসহ অভিযুক্ত বখাটেদের আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।

বিষ্ণুপদ হীরা জানান, ধর্ষণের শিকার গৃহবধূসহ তিন তরুণ মাসুদ মোল্লা (২৫), মাহবুব মৃধা (৩০) ও নূর মোহাম্মদ হাওলাদার (২৪) এবং তাদের সহায়তাকারী ওমর ফারুককে (২৬) আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে মাসুদ মোল্লার বাবা তনু মোল্লা দাবি করেন, ‘আমার ছেলে এমন কাজ করতে পারে না। ও কাজ করে খায়। স্থানীয়রা পূর্বের শত্রুতা মিটানোর জন্য আমার ছেলের নাম দিয়েছে। এ সবই ষড়যন্ত্র।’

এ বিষয়ে শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে হাজির করা হবে।

আমাদের বাণী ডট কম/০৯  জুলাই  ২০২০/পিপিএম 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।