ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সরকারি মোবাইল নাম্বার ক্লোন করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের নিকট টাকা চাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার সন্ধায় ভাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ১০ এর দিকে ইউএনওর ক্লোন নম্বর থেকে উপজেলার আলগি ইউনিয়ন ন্যাশন্যাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহাতাব উদ্দিনের কাছে আট হাজার টাকা চাওয়া হয়।

মো. মাহাতাবউদ্দিন বলেন, সকাল ১০টা ১০ মিনিটের দিকে ইউএনওর মোবাইলফোন থেকে তার নম্বরে ফোন করে বলা হয় আপনার বিদ্যালয়ের জন্য দুটি ল্যাপটপ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আপনার নিজের একটি। আমি এখন ঢাকায় আছি, আপনি দ্রুত আট হাজার টাকা পাঠিয়ে দিন।

তবে মাহাতাবউদ্দিন টাকা না দিয়ে উপজেলায় যোগাযোগ করে জানতে পারেন ইউএনও বর্তমানে দেশে নেই। গত ১৮ মে ১০ দিনের প্রশিক্ষণে বিদেশ গিয়েছেন। আগামী ২৯ মে তার (ইউএনও) ফেরার কথা।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার হিমাদ্রী খীসা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ‘একটি বিশেষ অনুরোধ’-এর মাধ্যমে জানান, ‘ভাঙ্গা ইউএনও মহোদয়ের অফিসিয়াল নাম্বার ক্লোন হয়েছে। ইউএনও পরিচয় দিয়ে টাকা চাওয়া হচ্ছে। প্রতারণামূলক ফোন পেয়ে কেউ প্রতারিত হবেন না। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ রইল।’

প্রসঙ্গত বর্তমান ভাঙ্গার ইউএনও মুকতাদিরুল আহমেদ ১০ দিনের প্রশিক্ষণে গত ১৮ মে থেকে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। বর্তমান ভাঙ্গার ইউএনও হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ইউএনও পূরবী গোলদার।

পূরবী গোলদার বলেন, ভাঙ্গার ইউএনওর সরকারি নম্বরটি বর্তমানে তিনি ব্যবহার করছেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দুইটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে ইউএনওর ক্লোন নম্বর থেকে ফোন করে টাকা চাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এ খবর জানার পর দুপুর ১২টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সতর্ক করে আমি একটি ক্ষুদে বার্তা দিয়েছি। এছাড়া ভাঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিমাদ্রী খীসা আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

প্রসঙ্গত গতবছর ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক, ফরিদপুর সদর উপজেলার ইউএনও ও ভাঙ্গার ইউএনওর মোবাইল নম্বর ক্লোন করে টাকা চাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।