বগুড়া সংবাদদাতা; জেলায় যমুনা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে ১২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রবল বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে জেলার সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনা নদীতে পানি বেড়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই ২০২০) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সহকারী প্রকৗশলী মো. হুমায়ুন কবির।

এদিকে যমুনা নদীর পানি বাড়ায় সারিয়াকান্দি উপজেলার চরাঞ্চলের চালুয়াবাড়ি, কর্নিবাড়ি, কুতুবপুর, চন্দনবাইশা, কাজলা, কামালপুর, রহদহ ও সারিয়াকান্দি সদরসহ সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার মোট ১৬টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল এবং ধান, পাটসহ ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ। পানি বাড়ায় নদী তীরবর্তী মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

পানিবন্দি এলাকার অসংখ্য মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্র, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ উঁচু জায়গাগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া যমুনা চরে বসবাসকারী অনেকে ঘর-বাড়ি ভেঙে নৌকায় করে নদীতীরে চলে আসছেন। বন্যার দুর্যোগ থেকে স্থায়ী সমাধান খুঁজতে তারা চরের পৈত্রিক ভিটেমাটি ছেড়ে আসছেন।

অন্যদিকে এসব এলাকার অসুস্থ ও প্রতিবন্ধী মানুষ কষ্টে রয়েছেন। চারপাশে বন্যার পানির মধ্যে শিশুদের নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বানভাসীরা। বন্যা কবলিত এলাকার ধান, পাটসহ আবাদী জমির মৌসুমী ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এসব এলাকায় নিরাপদ পানি ও গো-খাদ্যের চরম সংকট রয়েছে। এদিকে বাঙালি নদীতে পানি বেড়ে নদীতীরের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে ক্ষেতের ফসল।

মো. হুমায়ুন কবির জানান, যমুনা নদীতে বিপদসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৬ দশমিক ৭০ মিটার। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার হিসাব অনুযায়ী, নদীর পানি ১৭ দশমিক ৯৬ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ বিপদসীমার ১২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে বুধবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার হিসাব অনুযায়ী, যমুনা নদীর পানি ১৭ দশমিক ৮৯ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

তিনি জানান, বাঙালি নদীতে বিপদসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৫ দশমিক ৮৫ মিটার। এখন এ নদীতে পানি ১৫ দশমিক ৬১ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ এ নদীর পানিও বেড়ে বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আমাদের বাণী ডট কম/১৫ জুলাই ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।