বেশ অনেক দিন অসুস্থ হয়ে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি আছেন ঢাকাই সিনেমার দর্শকনন্দিত অভিনেতা এটি এম শামসুজ্জামান। ঈদের আগে বেশ কয়েক দফা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালেী ঈদ কাটান তিনি।এবার আজগর আলী হাসপাতাল থেকে তাকে আগামীকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়  হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে।

শনিবার তাকে আজগর আলী হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এটিএম শামসুজ্জামানের মেজো মেয়ে কোয়েল। তিনি বলেন, সকলের দোয়ায় বাবা এখন অনেকটাই সুস্থ। তবে আগামীকাল আজগর আলী হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে পিজি হাসপাতালে ভর্তি হবেন বাবা। পুরোপুরি সুস্থ হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।

জানা গেছে, নার্সিং সেবা দেবার পাশাপাশি টেস্ট ফিজিওথেরাপিও দিতে হবে এটি এম শামসুজ্জামান। এজন্য তাকে কয়েকদিন বিএসএমএমইউ-তে রাখা হবে।

গত ২৬ এপ্রিল, রাত ১২টার দিকে অসুস্থ বোধ করায় এ টি এম শামসুজ্জামানকে আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর হঠাৎ করেই তার রেচন প্রক্রিয়ায় জটিলতা দেখা দেয়। গত ২৭ এপ্রিল তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। কিন্তু ৩০ এপ্রিল শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। এর পর সুস্থ অনুভব করলে লাইফ সাপোর্ট খুলে দেয়া হয়। কিন্তু পুনরায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আবারো তাকে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়।

এ টি এম শামসুজ্জামান পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০১৫ সালে পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক। ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেন ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের জন্য।

এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনি লিখেছেন। প্রথম দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রের পর্দায় তার আগমন ১৯৬৫ সালে। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন তিনি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।