সন্তান হারানোর শোকে বার বার জ্ঞান হারাচ্ছেন বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বির মা রোকেয়া খাতুন। আহাজারি করতে করতে ছেলে হারানো এই মা বলে চলেছেন, আমার ছেলে কী আপরাধ করেছিলো? কিসের জন্য তারা আমার ছেলেকে এভাবে হত্যা করলো? আমার ছেলে অনেক মেধাবী। সে কারও সঙ্গে উচ্চস্বরে কথাও বলেনি। আর আমার ছেলেকে আজ হত্যা করা হলো। আমি এর বিচার চাই। আমি প্রশাসনের কাছে বিচার চাই। আমার ছেলে কী অন্যায় করেছিলো যে তাকে প্রাণ দিতে হলো? আমার ছেলের মতো লাখে একটাও হয় না। সবার ঘরে বেটা থাকতে পারে, আমার ব্যাটার মতো বেটা ছিলো না।

আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। যে ছেলেটা বিকেল ৫টায় ঢাকায় পৌঁছালো, তাকে ৮টার দিকে নির্যাতন করার জন্য ডেকে নিয়ে গেল। ছয় ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালালো। এটা অবশ্যই পরিকল্পিত। আপনাদের কাছে আমি এর বিচার চাই।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে আবরার ফাহাদ রাব্বির দাফন সম্পন্ন হয়। কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা ঈদগাহ ময়দানে তৃতীয় দফা জানাজার নামাজ শেষে রায়ডাঙ্গা গোরস্থান ময়দানে তাকে দাফন করা হয়। আবরারের জানাজায় কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন।

আবরারের বাড়ি কুষ্টিয়ার শহরের পিটিআই সড়কে পাশে। আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বর্তমানে একটি এনজিও সংস্থায় কর্মরত আছেন। মা রোকেয়া খাতুন কুষ্টিয়া শহরের একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষকতা করেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে আবরার ফাহাদ বড় ছিলেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।