একাদশ শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি আদায় এবং সঠিক সময়ে অধ্যক্ষ কলেজে না আসার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ চলাকালিন সময়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন। এসময় শিক্ষার্থীরা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে যান এবং তাদের অভিযোগ তুলে ধরলে নির্বাহী অফিসার মো: মাসুম রেজা তাদেরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে তারা কলেজ ক্যাম্পাসে ফিরে এসে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কুমারেশ সরকার কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবী মেনে নেওয়ার জন্য বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে।

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের সুব্রত কুমার পাল ও জিসান হোসাইন জানান, আগামি এপ্রিল মাসের ৩ তারিখ থেকে আমাদের একাদশ শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু আমাদের পরীক্ষার্থীদের একেক জনের কাছ থেকে একেক রকম করে অবৈধ ভাবে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কোন রকম নিয়ম-নীতি ছাড়াই আমাদের কলেজ কর্তৃপক্ষ এই ধরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বালিয়াকান্দি সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আকাশ লস্কর জানান, অনেক পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৪ হাজার টাকার উপরে পরীক্ষার ফিসহ বিভিন্ন খাতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। একটি মফস্বলের সরকারি কলেজের একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এক বছরে প্রায় ৫ হাজার টাকার উপরে আদায় করছে। এটা কিভাবে সম্ভব? তাহলে আমাদের কলেজটি সরকারি হয়ে কি লাভ হলো।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মিম জানান, আমাদের অধ্যক্ষ স্যার নিয়মিত কলেজে আসেন না। যে দিন আসেন তাও আবার সেদিন ১২ টার পর আসেন। একজন অধ্যক্ষ যদি অনিয়মিত ভাবে কলেজে আসেন তাহলে আমাদের কলেজ কিভাবে চলে সেটি আপনারা বিচার করবেন।

অতিরিক্ত টাকা আদায় এবং নিয়মিত ভাবে কলেজে না আসার ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কুমারেশ সরকার বলেন, আমরা অতিরিক্ত কোন টাকা আদায় করছিনা। যাদের ৪ হাজারের উপরে টাকা ধরা হয়েছে তাদের কাছে বেতনসহ অন্যান্য খাতে বকেয়া রয়েছে। আর আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। কারণ আমার প্রতিদিনই প্রায় উপজেলাতে বিভিন্ন মিটিং থাকে।

একটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কত টাকা বেতন নিতে পারেন এমন প্রশ্ন করলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কুমারেশ সরকার বলেন, আমাদের কলেজটি সদ্য সরকারিকৃত। এখনো আমরা সরকার থেকে কোন ধরনের প্রজ্ঞাপন পাইনি। তাই আমরা বেসরকারি নিয়মেই বেতন নিচ্ছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুম রেজা বলেন, কলেজের শিক্ষার্থীরা আমার কাছে বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে এসেছিল। আমি তাদের অভিযোগটি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। প্রয়োজন হলে বার্ষিক সমাপনি পরীক্ষার তারিখ পেছানো হবে।

আমাদের বাণী-আ.আ.হ/মৃধা

[wpdevart_like_box profile_id=”https://www.facebook.com/amaderbanicom-284130558933259/” connections=”show” width=”300″ height=”550″ header=”small” cover_photo=”show” locale=”en_US”]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।