গতকাল পাকিস্তানের সঙ্গে বিশ্বকাপ মিশন শেষ হয়েছে বাংলাদেশের। ৯ ম্যাচের সফরে দুর্দান্ত গেলেও সেমিফাইনালে না যাওয়ার আক্ষেপ থেকেই যাবে টাইগারদের। এই বিশ্বকাপে ব্যাটে সবচেয়ে বেশি আলো ছড়িয়েছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

আট ইনিংসের সাতটিতেই ফিফটি প্লাস ইনিংস খেলেছেন। আছে দুটি সেঞ্চুরি আর পাঁচটি ফিফটি। বিশ্বকাপের এক আসরে সাতটি ফিফটি প্লাস ইনিংস খেলে নাম লিখিয়েছেন শচীন টেন্ডুলকারের গড়া কীর্তিতে। বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ডও গড়েছেন সাকিব। টানা চতুর্থ বিশ্বকাপের শেষ তিনটিতেই অলরাউন্ডার র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে থেকে খেলার অনন্য এক বিরল রেকর্ডও গড়েছেন সাকিব।

৬৩১ বলে ৬০৬ রান করা সাকিব এই বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে পর্যন্ত সর্বোচ্চ বাউন্ডারি পাওয়া ব্যাটসম্যানও তিনি। সর্বোচ্চ ৬০টি চার হাঁকিয়েছেন সাকিব। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৫টি বাউন্ডারি পেয়েছেন ইংল্যান্ডের জনি বেয়ারস্টো। তৃতীয় সর্বোচ্চ চার হাঁকিয়েছেন ভারতের ওপেনার রোহিত শর্মা (৫৩টি)। ৫০টি বাউন্ডারি আছে পাকিস্তানের বাবর আজমের। আর এই তালিকায় পাঁচে থাকা অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার হাঁকিয়েছেন ৪৯টি চার।

টুর্নামেন্ট সেরা ক্রিকেটার হওয়ার লড়াইয়ে দারুণভাবেই এগিয়ে আছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। এরই মধ্যে ঢুকে গেছেন বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান করা কিংবদন্তিদের তালিকায়। এই তালিকায় শীর্ষে সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান, ওয়ানডের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি আর সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক শচীন। আর গ্রেটদের কাতারে ঢুকে সাকিব উঠে গেছেন বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় ৯ নম্বরে।

দ্বাদশ বিশ্বকাপ সাকিবকে দিয়েছে দুহাত ভরে। ৮৬.৫৭ গড়ে ৮ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬০৬ রান করেছেন সাকিব, বাঁহাতি স্পিনে নিয়েছেন ১১টি উইকেট। বিশ্বকাপে আগের কোনো আসরে ১০ উইকেটের পাশে ৪০০ রানও ছিল না কোনো ক্রিকেটারের।

লিগ পর্ব থেকে বাংলাদেশকে ফিরতে হচ্ছে। লিগ পর্বে এক আসরে সর্বোচ্চ ছিল শচীনের নামের পাশে। ২০০৩ বিশ্বকাপে ভারতীয় ব্যাটিং ঈশ্বর করেছিলেন ৫৮৬ রান। শচীনের রেকর্ড মুছে দিয়ে সাকিব এই আসরে করলেন ৬০৬ রান।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।