ঈদুল ফিতরের উৎসব ভাতা ও মে মাসের বেতন-ভাতার চেক দেরিতে ছাড় করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বেসরকারি শিক্ষক নেতারা। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষক-কর্মচারিদের বোনাস ও বেতন উত্তোলনের শেষ দিন ৩ জুন হওয়ায় ঈদের আগে তা ব্যাংক থেকে পাওয়া যাবে না। জেনেশুনে দেরিতে চেক ছাড় করাকে ‘প্রহসন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন শিক্ষক নেতারা। কারণ হিসেবে নেতারা বলেছেন ব্যাংকগুলো ৪ জুন থেকে ঈদুল ফিতরের বন্ধ থাকবে। আর অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই শেষদিনে বেতনবিল ব্যাংকে জমা দেয়। শনিবার (২৫ মে) বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার নেতারা এক বর্ধিত সভায় এমন মন্তব্য করেন।

বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ও কল্যাণ তহবিলের জন্য বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ চাঁদা কর্তনের আদেশটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বিটিএ নেতারা। একই সাথে জাতীয় শিক্ষনীতি ২০১০ এর আলোকে মাধ্যমিক শিক্ষা সরকারিকরণের পদক্ষেপ গ্রহণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তাঁরা। শনিবার (২৫ মে) চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লাস্থ শিক্ষক ভবনে অনুষ্ঠিত বিটিএর আঞ্চলিক শাখার এক বর্ধিত সভা ও ইফতার মাহফিলে এ দাবি জানানো হয়।

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সভাপতি সৈয়দ লকিতুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও প্রাবন্ধিক শামসুদ্দীন শিশির, বিটিএর কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি রনজিৎ কুমার নাথ, উপদেষ্টা অসিত কুমার লালা, বাদল চন্দ্র সিকদার, শান্তি রঞ্জন চক্রবর্তী, সহসভাপতি গোলামুর রহমান, মো: আমিরুজ্জামান।

শিক্ষক সংগঠনসমূহের প্রতিনিধিদের সাথে কোনোরূপ আলোচনা ছাড়াই অতিরিক্ত ৪ শতাংশ সহ মোট ১০ শতাংশ কর্তনের জন্য মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে লিখিত আদেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আদেশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির নেতারা আন্দোলন করে আসছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাঁরা আরও বলেন, বেসরকারি এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারি বর্তমানে ২৫ শতাংশ ঈদ বোনাস পেয়ে থাকেন। তাই, তাঁরা পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন না। সভায়, শিক্ষাব্যবস্থা সরকারিকরণের দাবি এবং অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের জন্য ১০ শতাংশ চাঁদা কর্তনের আদেশ বাতিল চান শিক্ষক নেতারা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।