ভাঙা সংসার জোড়া লাগাতে গিয়েছিলেন এহসান আলী (৩৫) ও সেলিনা খাতুন (২৬)। কিন্তু সফল হননি উল্টো ফেরার পথে বিরোধে জড়িয়ে জনতার হাতে ধরা পড়েছেন ছেলেধরা সন্দেহে।

বুধবার সকাল ৮টার দিতে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মোল্লাপাড়া এলাকায় এই কাণ্ড ঘটেছে।

এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন এহসানের বন্ধু একই উপজেলার ফাটাপাড়া এলাকার রবিউল ইসলাম (৩৫) ও সেলিনা খাতুনের চাচাতো বোন মৌসুমি খাতুন (৭)। ঘটনার পর শিশুসহ চার জনকেই হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

এহসানের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার হরিসপুরে। অপরদিকে বিবাহ বিচ্ছেদের পর সেলিনা খাতুন একই উপজেলার চর বাগডাঙ্গায় বাবার বাড়িতে থাকেন।

পুলিশ জানিয়েছে সঙ্গে শিশু থাকায় বুধবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার মোল্লাপাড়া এলাকায় তিন জনকে পাকড়াও করে এলাকাবাসী। পরে শিশুসহ বাকি তিন জনকে গোদাগাড়ীর প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।

গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বনিবনা না হওয়ায় সম্প্রতি এহসান ও তার স্ত্রী সেলিনার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর থেকেই বাবার বাড়িতে থাকতেন সেলিনা। তবে তাদের ভাঙা সংসার জোড়া দেয়ার চেষ্টা করছিলেন বন্ধু রবিউল। বিরোধ মেটাতে মঙ্গলবার এহসান ও সেলিনাকে নিয়ে রবিউল খারিজাগাতি কচিয়াপাড়ায় তার মামার বাড়িতে যান। এ সময় বাবার বাড়ি থেকে সেলিনা চাচাতো বোনকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন।

কিন্তু এহসান ও সেলিনা দুই মেরুতে থাকায় বিরোধ মেটানো যায়নি। শেষে কচিয়াপাড়া থেকে বুধবার সকালে নিজ নিজ বাড়ি ফেরার পথে মোল্লাপাড়ায় আবারও বিবাদে জড়িয়ে পড়েন তারা।

এদিকে কথাবার্তা সন্দেহজনক হওয়ায় ছেলেধরা সন্দেহে এলাকাবাসী তাদের আটক করেন। খবর পেয়ে প্রেমতলী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সেখানে পৌঁছে শিশুসহ চার জনকে উদ্ধার করে।

ওসি আরও জানান, আদতে তারা ছেলেধরা নন। সবার আত্মীয়-স্বজনকে খবর দেয়া হয়েছে। এলেই সবাইকে তাদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হবে।

সন্দেহজনক কিছু পেলে আইন নিজের হাতে না তুলে পুলিশকে জানানোর আহ্বান জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।