ঘটনাটি আশ্চার্য হলেও সত্য যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার জন্য দোকানে ঢোকার সাথে সাথেই ৩৬শো টাকার জামা হয়ে গেল ১৬শো টাকা। এ সময় ঐ দোকানে উপস্থিত তিন নারী ক্রেতা সাথে সাথে ১৬০০ টাকা দিয়ে তাদের পছন্দের জামা ক্রয় করে নেন। আর বলতে থাকেন এ ধরণের অভিযান সব সময় অব্যাহত থাকা উচিত। তারা ভ্রাম্যমান আদালতকে অভিনন্দন জানান।

ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বালিয়াকান্দি বাজারে। এসময় একদর দোকানে পণ্যের কেনার চেয়ে বেশী দামে বিক্রি, পণ্যের গায়ে মূল্যে তালিকা না থাকায় এবং পণ্যের ভাউচার দেখাতে না পারার দায়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা যৌথভাবে জরিমানা আদায় করেছে স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার বেলা ২টায় বালিয়াকান্দি বাজারের রুপের হাট, শীতল ফ্যাশন ও ঘোমটা বস্ত্রালয়ে পৃথক পৃথক ভাবে এই অভিযান চালানো হয়।

ভ্রাম্যমান আদালতটি পরিচালনা করেন বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: মাসুম রেজা এবং রাজবাড়ী জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো: শরিফুল ইসলাম।

বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: মাসুম রেজা ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে বালিয়াকান্দি বাজারের কিছু ব্যবসায়ি (একদর) নাম দিয়ে পণ্যে কেনার চেয়ে দিগুন দাম নিচ্ছে। তারই প্রেক্ষিতে জরিমানাকৃত দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, একদর দোকান গুলোতে পণ্যের কেনার চেয়ে দিগুন দামে বিক্রি করা ও পণ্যের গায়ে মূল্যে তালিকা না থাকায় তখন দোকানদারদেরকে পণ্যে ক্রয় করে আনার ভাউচার দেখতে চাইলে সেটিও দেখাতে পারেনি। যার কারনে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা করে মোট ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাসুম রেজা আরো জানান, আপনারা আশ্চার্য হয়ে যাবেন আমি যখন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার জন্য শীতল ফ্যাশানে প্রবেশ করি তখন দোকানের ভিতরে থাকা কয়েকজন নারী ক্রেতা আমাকে জানান, আমি আসার আগে তাদের কাছে যে জামা ৩৬শো টাকা চেয়েছিল সেটি এখন ১৬শো টাকা চাচ্ছে । আমার উপস্থিতিতেই তারা ১৬শো টাকা দিয়ে জামাগুলো ক্রয় করে নিয়ে যায়।
এসময় জেলা সেনিটেশন ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্যে পরিদর্শক সূর্য কুমার প্রামানিক ও উপজেলা সেনিটেশন ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্যে পরিদর্শক মো: পনিরুজ্জামান পনির উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমান আদালতটি পরিচালনা করার সময় জেলা পুলিশ ও বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ সার্বিক সহযোগিতা করে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।