চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সাহেব বাজার, সুজাতপুর বাজার, গালিমখাসহ কয়েকটি ষ্ট্যান্ডে গাড়ি চালকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে আসছিল একটি মহল।

মঙ্গলবার মতলব উত্তর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান ওই চাঁদাবাজি বন্ধ করে দিয়েছেন। ঈদ পূর্ববর্তী সময়ে এই চাঁদাবাজি বন্ধ করে দেওয়ায় চালকদের মাঝে স্বন্তি ফিরে এসেছে।

জানা গেছে, উপজেলার ষ্ট্যান্ডগুলোতে লেগুনা চালকদের কাছ থেকে থানা পুলিশ ও টিআই এর কথা বলে আদায় করা হত দৈনিক ১০০ টাকা ও মাসিক ৪০০ টাকা। কিছু কিছু সিএনজি চালকদের কাছ থেকে আদায় করা হত দৈনিক ৫০ টাকা ও মাসিক ২০০ টাকা। এছাড়াও ইজি বাইক ও টমটমের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের চাঁদাবাজি করা হতো। মঙ্গলবার ওসি মিজানুর রহমান সরেজমিন ঘুরে চালকদের ডেকে এসব চাঁদার টাকা দিতে নিষেধ করেছেন। এমনকি কেউ যদি এমন চাঁদা চায় তাহলে তাকে মঠোফোনে তথ্য দিলে চাঁদাবাজকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়ে দেন। এবং গালিমখা বাংলা বাজার ষ্ট্যান্ডের, আংকুর, ফারুক মেম্বার, সাহেব বাজার ষ্ট্যান্ডের শাহজাহান এবং সুজাতপুর বাজার ষ্ট্যান্ডের লালমিয়াসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ডেকে এসব চাঁদা উত্তোলন থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

চালকদের সাথে কথা হলে তারা জানান, পথে পথে চাঁদা দিতে দিতে আমরা ব্যাকুল হয়ে পড়েছি। ওসি মহোদয় যে কাজটি করলেন তা আমাদের জন্য অত্যান্ত একটি মহৎ কাজ। এমন চাঁদা এর আগে কখনো কোন ওসি করেনি। আমার তার জন্য দোয়া করবো।

ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তার ধারাবাহিকতায় মতলব উত্তর থানা এলাকায় কোন চাঁদাবাজি, দূর্ণীতি, মাদক ও যেকোন ধরনের সামাজিক অপরাধ থাকবে না। আমি এই এলাকার জনগনকে সাথে নিয়ে এসব অপরাধ আস্তে আস্তে নির্মূল করবো। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুলসহ এই উপজেলার যতজনের সাথে কথা হয়ে কেউই এসব অপরাধ পছন্দ করেন না। সুতরাং অপরাধ দমনে আমি সবসময়ই সোচ্ছার।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।