ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র কারণে মোংলা বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করার পর প্রায় চার হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগেই তাদেরকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

তথ্য মতে, মোংলার সর্ব দক্ষিণের শেষ জনপদ পশুর নদী ও সুন্দরবন লাগোয়া জয়মনিরঘোল এলাকায় নদীর পাড়ে ও সুন্দরবনের পাশে বসবাসরতদের আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

মোংলার সবচেয়ে বেশি ঝুকিতে থাকা চিলা ইউনিয়নের প্রায় ৩/৪ হাজার বাসিন্দা ৭টি আশ্রয় কেন্দ্র, জয়মনি ফুড সাইলোসহ বিভিন্ন স্কুল ভবনে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিলা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন।

এছাড়া সুন্দরবনের দুর্গম এলাকা বিশেষ করে শ্যালা ও কোকিলমনিসহ অন্যান্য ঝুকিপূর্ণ ক্যাম্পের বন কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ, পৌর কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশসহ বিভিন্ন সংগঠন বিপদ সংকেতের বার্তা প্রচার করে জনসাধারণকে সর্তক করছেন এবং আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বলছেন। সরকারী কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল ও স্বকর্মস্থলে থাকায় বন্দর, উপজেলা প্রশাসন, পৌর কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি এবং প্রচারণায় পূর্বের তুলনায় লোকজনের মধ্যে অধিক সচেতনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

[wpdevart_like_box profile_id=”https://www.facebook.com/amaderbanicom-284130558933259/” connections=”show” width=”300″ height=”550″ header=”small” cover_photo=”show” locale=”en_US”]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।