নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকাঃ রাজধানীর মুগদা থানার মান্ডা এলাকায় ১৩ বছরের এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।

তাকে উদ্ধার করে স্বজনরা প্রথমে স্থানীয় মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের চাচা আরিফুল ইসলাম জানান, মেয়েটি কোচিং শেষে বাসায় ফিরে রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। তখন বাসায় কেউ ছিল না। স্বজনরা বাসায় ফিরে দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ পরেও দরজা না খোলায় ভেঙে ভেতরে গিয়ে তাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।পরে মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

‘তবে কী কারণে সে ফাঁসি নিয়েছে এ বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না।’ তিনি আরও জানান, আত্মহননকারী মেয়েটির পরিবার ওই এলাকার স্থানীয়। এক ভাই এক বোনের মধ্যে সে ছিল বড়।

স্বজনদের বরাত দিয়ে মুগদা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকরামুল ইসলাম জানান, ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নিয়েছে মেয়েটি। পরে স্বজনরা দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে মেডিকেলে নিয়ে যান। মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।