এম খায়রুল ইসলাম পলাশ, রাজাপুর (ঝালকাঠি) সংবাদদাতা;  জেলার রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য কুদ্দুস হাওলাদারের বাড়ী থেকে তার স্ত্রী দুই সন্তানের জননী রুনা লায়লার (৩০) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে রাজাপুর থানা পুলিশ।

আজ বৃহাস্পতিবার (২১ মে ২০২০) বিকালে পুলিশ ঐ গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে। নিহত রুনা লায়লা রাজাপুর উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের ডহর সংকড় এলাকার মো:আমির হোসেন গাজীর মেয়ে এবং উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য মো:কুদ্দুস হাওলাদারের দ্বিতীয় স্ত্রী।কুদ্দুস হাওলাদার নারিকেল বাড়ীয়া এলাকার মজিবর হাওলাদারের ছেলে।

নিহত রুনা লায়লার পিতা আমির হোসেন গাজী বলেন,আমার মেয়েকে ওখানে বিবাহ দেয়ার পর থেকেই তাদের সংসারে ঝামেলা লেগেই থাকতো।কুদ্দুস প্রায়ই আমার মেয়েকে নির্যাতন করতো। আর এই ঝামেলার মাঝেই তাদের দুইটা সন্তান হইছে। প্রথম সন্তান হওয়ার পর এবং দ্বিতীয় সন্তান পেটে থাকতে আমার মেয়েকে আমার বাড়ীতে রেখে যায় আমার জামাই কুদ্দুস।দির্ঘদিন পরে যখন তাদের দ্বিতীয় সন্তান হয় তখন কুদ্দুসের পরিবারের সবাই এসে আমার মেয়েকে নিয় যায় তাদের বাড়ীতে।আমার মেয়েকে কুদ্দুসের পরিবারের সবাই সব সময় নির্যাতন করতো।কুদ্দুস ও তার ভাই পরিকল্পিত ভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে।

রুনা লায়লায় ভাই রেজাউল হোসেন বলেন,আমার বোনকে আমার দুলাভাই কুদ্দুস প্রায়ই নির্যাতন করতো।আজ আমার বোনকে দুলাভাই সহ তাদের পরিবারের সবাই মিলে হত্যা করছে।

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন বলেন,খবর পেয়ে আমরা গৃহবধু রুনার মরদেহ উদ্ধার করেছি।ময়না তদন্তের পরে বলা যাবে হত্যা নাকি আত্মহত্যা।

আমাদের বাণী ডট/২১  মে ২০২০/পিবিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।