আনোয়ার হোসেন আরিফ, কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতাঃ জেলার রাজারহাটে পিতা-মাতার সামনে থেকে  স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষন করেছে তিন নরপিচাশ। বাঁধা দেয়ায় কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে মেয়েটির বাবাকে। ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা ছিনাই ইউনিয়নের মহিধর গ্রামে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রবিবার মধ্যরাতে মুষুলধারে বৃষ্টি চলাকালীন সময়
মেয়েটির বাড়ির দরজা ভেঁঙ্গে মুখোশ পরিহিত ৩ যুবক কক্ষে প্রবেশ করে। এ সময় বিদ্যুৎ ছিল না। কিছু বুঝে উঠার আগেই ওই যুবকরা মেয়েটির পিতাকে ধারালো অস্ত্রাঘাতে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
এক পযার্য়ে তার পিতা অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এ সময় মেয়েটির মা এগিয়ে আসলে তাকেও মারপিট করে খাটের সাথে বেঁধে রাখা হয়। পরে ওই কক্ষের আলমারীর দরজা খুলে নগদ ২লাখ টাকা ও দুই ভরি স্বণার্লংকার চুরি করে মুখোশ পরিহিত যুবকরা। চুরি শেষে পার্শ্ববর্তী কক্ষের দরজা ভেঁঙ্গে ৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী নাবালিকা মেয়েটিকে পার্শ্ববর্তী ইউক্লিপটাস বাগানে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষন করে লম্পট যুবকরা।
পরে তারা মেয়েটিকে রেখে পালিয়ে যায়। সকালে এলাকাবাসী ধর্ষিতা মেয়েটি ও তার গুরুতর অসুস্থ্য
পিতাকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এলাকাবাসীর ধারনা, ঘটনার সঙ্গে এলাকারই লোকজন জড়িত রয়েছেন।
খবর পেয়ে বিকেলে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খাঁন (বিপিএম), সহকারী পুলিশ সুপার উৎপল কুমার ও রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ রাজু সরকার ঘটনাস্থল
পরিদর্শন করেছেন।
সোমবার বিকেলে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ রাজু সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় রাজারহাট থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আমাদের বাণী ডট কম/২৮ জুলাই ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।