নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজীপুরঃ  গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২৭ নং ওয়ার্ডে এক সন্তান নিয়ে বাস করছেন বিধবা ফাতেমা বেগম। স্বামী বেঁচে থাকতে সুখে সংসার করলেও স্বামীর মৃত্যুর পর যেন তাঁর উপর নেমে আসে এক দুর্বীষহ জীবন। এর কারণ স্থানীয় সাবেক এক কাউন্সিলর ও তাঁর স্ত্রী।  এই দম্পত্তির অত্যাচারে শুধু ঐ বিধবা নারীই নয় অতিষ্ঠ পুরো এলাকাবাসী।

সোমবার সকালে গাজীপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ফাতেমা বেগম তার লিখিত বক্তব্যে এমনই অভিযোগ করেন স্থানীয় প্রভাবশালী ইসমিতা জাহান পপি ও তার স্বামী সাবেক কমিশনার আব্দুল মতিন ওরফে মতি কমিশনারের বিরুদ্ধে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি একজন বিধবা অসহায় নারী। গাজীপুর সিটির লক্ষীপুরা এলাকায় সারে দশ শতাংশ জমির উপর বাড়ি নির্মাণ করে সিটি কর্পোরেশনের যাবতীয় খাজনা খারিজ টেক্স পরিশোধ করে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছি। উক্ত জমিসহ বসতভিটা জবর দখল করার উদ্দেশে স্থানীয় প্রভাবশালী ইসমিতা জাহান পপি ও তার স্বামী সাবেক কমিশনার আব্দুল মতিন ওরফে মতি কমিশনার ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমাকে নানাভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন করে আসছে। তারা বিভিন্ন সময়ে কারণে অকারণে ঝগড়া বিবাদ এবং আমার জায়গাসহ বাড়িটি অন্যায় ভাবে দখলের পায়তারা করছে।

এছাড়া আমার একমাত্র পুত্র সন্তান মোঃ সিফাত আহমেদ(১৭) কে হত্যাকরে লাশ গুম করার হুমকি দিচ্ছে। এ ব্যাপারে আমি আদালত, প্রশাসনসহ সর্বস্তরে বিবেকবানদের কাছে ঘুরছি। জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় আমার নামে নানা মিথ্যাচার রটানো হচ্ছে।  শুধু তাই নয় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মোবাইল ফোনে আমাকে ও আমার সন্তানকে খুন, গুম করার হুমকি অব্যাহত আছে। এ ব্যাপারে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের নিকট গত ২১ এপ্রিল অভিযোগ দায়ের করি।

তিনি আরও বলেন, মতি-পপি দম্পতির অত্যাচার নির্যাতনের ভয়ে স্থানীয়রা কোন প্রতিবাদ করে না। প্রশাসনের কাছে তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায় না।এছাড়া মতি কমিশনারের বড় ভাই ইমাম উদ্দিন ও ডাঃ সিরাজসহ এলাকাবাসী মতি-পপি দম্পতির প্রতিহিংসার শিকার হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ফাতেমা বেগম ও মতি কমিশনারের আপন বড় ভাই ইমাম আলী উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যপারে ভোক্তভোগীরা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

আমাদেরবাণী/মৃধা

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।