বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরক্ষরতা দূরীকরণ করতে মৌলিক স্বাক্ষরতা (৬৪ জেলা) প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছে। এর আওতায় ১৮ হাজার লোকের নিরক্ষরতা দূর করে স্বাক্ষরতার আওতায় আনা হবে বলে প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এ উপলক্ষে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর)  সকালে রুমা উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে প্রকল্প পরিচিতি ও ওরিয়েন্টশন সভা সকাল ১০ টায় রুমা উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় বেসরকারি সংস্থা ক্যাফের আয়োজনে এই সভার উদ্বোধন করেন রুমা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উহ্লাচিং মার্মা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম হোসেন।

রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ও অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন রুমা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান থাংখাম লিয়ান বম।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নুম্রাউ মার্মা, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর বান্দরবানের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মঞ্জুর আহমেদ, গ্যালেঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান শেউসাই মার্মা, রেমাক্রী প্রাংসা ইউপি চেয়ারম্যান সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।

উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার ব্যুরোর মৌলিক স্বাক্ষরতা (৬৪ জেলা) প্রকল্পের বিষয়ে ধারণা দিয়ে আলোচনা করেন ক্যাফ (কমিউনিটি এ্যাডভ্যাস্ডমেন্ট ফোরাম)’র নির্বাহী পরিচালক লালজারলম বম।

এদিকে নির্বাহী পরিচালক লালজারলম বম আমাদের বাণীকে বলেন, ক্যাফের সেচ্ছা সেবকের মাধ্যমে উপজেলায় চারটি ইউনিয়নের দুই শতাদিক পাড়ায় মাঠ পর্যায়ে প্রাথমিক জরিপ কাজ চলমান রয়েছে।  নিরক্ষরতা দূরীকরণের প্রত্যেক পাড়ায় ১৫-৪৫ বছর বয়সী নারী পুরুষ ৩০ জন করে আলাদাভাবে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু হবে। সেখানে একজন করে শিক্ষক স্বাক্ষরতার শিক্ষনীয় বিষয়গুলো নিয়ে পাঠদান করবে। নিরক্ষরতা দূরীকরণের লক্ষ্যে রুমা উপজেলায় ৩০০টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু হবে।

তিনি আরো বলেন, এ প্রকল্পের নারী-পুরুষ ১৮ হাজার নিরক্ষর লোকজনকে সাক্ষরতার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই এ প্রকল্পের বাস্তবায়নের কাজে প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সার্বিক সহযোগিতার প্রয়োজন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।