বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ধুইল্যা পাড়া বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় টি নানা সমস্যায় জর্জরিত। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার বেতন ভাতা ছাড়াই ৪ জন শিক্ষক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

জানা যায় ১৯৯৮ সালে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলীর সহযোগিতায় দূর্গম এলাকার শিক্ষা বঞ্চিত শিশুদের সঠিক পাঠদানের নিমিত্তে এলাকার এক ব্যক্তির দানকৃত ৩৩ শতক জমির উপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্টা করা হয়।

বাঁশের বেড়া আর টিন দিয়ে নির্মিত ছোট্ট আকারের এই স্কুলটি তে বর্তমানে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১৫০ এর অধিক হওয়ায় অবকাঠামোগত সংকটে ক্লাস রুমে বসার স্হান সংকুলান হচ্ছে না বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের।এছাড়াও দীর্ঘ ২১ বছরে বিদ্যালয়টি সরকারি করণের আওতায় না আসায় শিক্ষার্থীরা সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের ৫ ম শ্রেণীর ছাত্রী তানিশা আক্তার বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে দরজা জানালা না থাকায় বর্ষাকালে ক্লাস রুমে পানি ঢোকে, আর টিনের চালের নিচে ছাদ না থাকায় গ্রীষ্ম কালে ক্লাস রুমে বসা অত্যান্ত কষ্ট কর হয়ে পড়ে ।এমনকি আমাদের মধ্যে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

এই বিষয়ে ধুইল্যা পাড়া বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন জানান,দীর্ঘদিন বেতন ভাতা না পেয়ে আমাদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে।তারপর ও আমি এবং অত্র বিদ্যালয়ের বাকী শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের সমস্ত কার্যক্রম যথাযথ ভাবে পালন করে যাচ্ছি।এই দূর্গম এলাকায় শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিতদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে দিন রাত পরিশ্রম করছি।তিনি সমাজের বিত্তশালী ব্যাক্তি ও জনপ্রতিনিধিদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এর জন্য সাহায্যের হাত বাড়ানোর আহবান জানান।

সরই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম জানান, সার্বিক বিবেচনায় এই স্কুলটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই তিনি যতটা পারছেন স্কুলের জন্য সাহায্য সহযোগীতা করছেন।

এই বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-এ জান্নাত রুমি বলেন, ধুইল্ল্যা পাড়া প্রাইমারী স্কুল টির সমস্যার ব্যাপারে আমি অবগত হবার পর থেকে কয়েক দফায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য দের কাছে বিষয়টি উপস্হাপন করেছি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় কে জেলা পরিষদের মাসিক মিটিং এ স্কুলের সমস্যা তুলে ধরার জন্য অনুরোধ করেছি।

এই বিষয়ে লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল মুঠোফোনে জানান, এই বিদ্যালয়ের জন্যে জানুয়ারিতে একটি কক্ষ করে দেবো বলে আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে ইতিমধ্যে জানিয়েছি।আর বাকী যে সমস্যা গুলো আছে সেগুলো সমাধানের জন্য সামনে জেলা পরিষদের মাসিক মিটিং এ বিষয় গুলো উপস্হাপন করে সমাধানের চেষ্টা করবো।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।