শরীয়তপুর সংবাদদাতা; জেলায় পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনিতি হয়েছে। ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জেলার শরীয়তপুর সদর, নড়িয়া, জাজিরা ও ভেদেরগঞ্জ উপজেলার পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এদিকে উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে শরীয়তপুর-ঢাকা মহাসড়ক।

পানির স্রোতে রাস্তা-ঘাটের বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দ হয়ে যাওয়ায় শরীয়তপুর সদর, জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলার সমস্ত যানবহন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। মানুষ স্কুল-কলেজে আশ্রয় নিয়েছে। এদিকে বন্যাকবলিত এসব মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাই বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে চরম খাদ্যাভাব দেখা দেবে। এছাড়া গবাদি পশুর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও চিকিৎসাসেবা পয়নিষ্কাশনসহ সব ধরনের সমস্যায় পড়েছে বন্যাকবলিতরা।

এদিকে মাছ-চাষিদের ঘের তলিয়ে যাওয়ায় লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। গরু ও মোড়গের খামারিরাও বিপাকে পড়েছে।

শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের জানান, বন্যাকবলিতদের মাঝে শরীয়তপুর সদরের জন্য ১০০ মেট্রিক টন চাল ও ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার, ভেদেরগঞ্জের জন্য ৪০ টন চাল ও ১০০০ প্যাকেট শুকনো খাবার, নড়িয়ার জন্য ১৬০ টন চাল ও ৯০০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও জাজিরা উপজেলার জন্য ৩০০ টন চাল ও ১৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব বিতরণ শুরু হয়েছে।

এছাড়া মাননীয় পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, স্থানীয় সাংসদ ও পুলিশ সুপার অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছেন।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এএসএম আহসান-হাবীব বলেন, গতকাল ২৭ সেন্টিমিটার থেকে বেড়ে পদ্মার পানি ৩২ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

আমাদের বাণী ডট কম/২৯ জুলাই ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।