নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা; জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবায় এতদিন নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (আইসিইউ) সেবা না থাকায় জেলার অনেকেই অনেক ভোগান্তি সয়ে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। যথাসময়ে আইসিইউ সেবা না পেয়ে অনেকের মৃত্যুও হয়েছে। অবশেষে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের অনুরোধে জেলার দুটি প্রাইভেট ক্লিনিক আইসিইউ সেবা দিতে সম্মত হয়েছে।

  • আজ সোমবার (২২ জুন ২০২০) থেকে ‘প্রো অ্যাকটিভ’ ও ‘আল বারাকা’ নামের বেসরকারি ওই দুই প্রাইভেট ক্লিনিক করোনা আক্রান্ত রোগীদের আইসিইউ সেবা প্রদান শুরু করতে যাচ্ছে।

এদিকে দীর্ঘ সময়ে নারায়ণগঞ্জ করোনা হাসপাতালে আইসিইউ সেবা চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে সব সরঞ্জাম চলে আসায় আগামী ৭ দিনের মধ্যে এ হাসপাতালে আইসিইউ সেবা চালুর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন শামীম ওসমান। পাশাপাশি প্রো অ্যাকটিভ ও আল বারাকায় করোনা চিকিৎসা দেওয়ার মতো চিকিৎসক, নার্স সংকট থাকায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে কথা বলে তা সমন্বয় করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।

  • সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, জেলা করোনার ফোকাল পারসন ডা. জাহিদুল ইসলাম, প্রো এ্যাকটিভ ও আল বারাকার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।

এর আগে বিগত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে আইসিইউ সেবা চালু করতে পারেনি নারায়ণগঞ্জ করোনা হাসপাতাল। এতে এখানকার করোনা আক্রান্ত রোগীরা অনেক ভোগান্তির মুখে পড়ছেন। এর মাঝে আইসিইউ’র অন্যান্য সরঞ্জাম পাওয়া গেলেও বেডের অভাবে আইসিইউ ইউনিট চালু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। অবশেষে সোমবার আইসিইউ বেড পাওয়া গেছে।

এদিকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (২২  জুন ২০২০) তথ্য অনুযায়ী,  গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৮  জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ফলে ভাইরাসটিতে মোট ১৫০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৪৮০ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৮৬ জনে। আজ নমুনা পরীক্ষা হয়েছে মাত্র ১৫৫৫৫ টি যা গতদিনে ছিল ১৫৫৮৫ । গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৬ হাজার ২৮৭টি আর পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৫৫৫টি। শনাক্তের হার ২২.৩৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬৭৮ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪৬ হাজার ৭৫৫ জন। সুস্থতার হার ৪০.৩৮% এবং মৃত্যুর হার ১.৩০ শতাংশ। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানানো হয়, পুরুষ ৩৩ জন ও নারী পাঁচজন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১২ জন, রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগে দুইজন করে, বরিশাল বিভাগের চারজন এবং সিলেট বিভাগের একজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ২৫ জন, বাড়িতে ১২ জন এবং হাসপাতালে আনার পথে একজন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ৬১৮ জনকে। আইসোলেশন থেকে ছাড় দেয়া হয়েছে ৩৪১ জনকে।

আমাদের বাণী ডট কম/২২  জুন ২০২০/পিপিএম 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।