বাংলাদেশে বিশ্ব শিক্ষক দিবস সরকারিভাবে উদযাপিত না হওয়ায় শিক্ষক নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পৃথিবীর বহুদেশে এই দিবসটি আনুষ্ঠানিভাবে পালন করা হয়। অথচ বাংলাদেশে এর আনুষ্ঠানিকতা নেই। এর কারণ শিক্ষক সমাজের কাছে বোধগাম্য নয়।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির আয়োজনে এক আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিঁয়াজো ফোরামের মুখপাত্র মো. নজরুল ইসলাম রনি’র সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং মহিলা বিষয়ক উপ কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সুলতানা শফি।

সভায় বক্তারা বলেন, বিশ্ব শিক্ষক দিবসটি পালনে অ্যাকশন ইন্টারন্যাশনাল ও তার সহযোগী ৪০১টি সদস্য সংগঠন মূল ভূমিকা রাখে। দিবসটি উপলক্ষে প্রতিবছর একটি প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করে থাকে যা জনসচেতনতা বৃদ্ধির সাথে শিক্ষকতা পেশার অবদানকেও স্মরণ করিয়ে দেয়।

সভায় শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য ও বাংলাদেশে শিক্ষক নির্যাতন বিষয় নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেন বক্তারা। তারা বলেন, দীর্ঘ ২৫ বছরেও ২৫ শতাংশ ঈদ বোনাসের কোন পরিবর্তন নেই।

১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা নিয়ে বিশ্ব শিক্ষক দিবসের আলোচনায় শিক্ষক নেতারা ও অতিথিরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষকদের ক্ষুধার্ত রেখে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন সম্ভব নয়। অবিলম্বে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণসহ শিক্ষকদের ঐচ্ছিক বদলি এবং উচ্চতর গ্রেড বা টাইম স্কেল দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।