ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা; চট্টগ্রামের  উত্তর সাতকানিয়া আলী আহম্মদ প্রাণহরি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ১ম হয়েও যোগদান করতে পারছেন না এক প্রার্থী। তাকে বাদ দিয়ে ২য় প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার অপতৎপরতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ও দুই অভিভাবক সদস্য।

  • অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ জুন আলী আহম্মদ প্রাণহরি উচ্চ বিদ্যালয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে নিয়োগ কমিটির প্রধান শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় ৩ জন প্রার্থীকে নির্বাচিত করে মৌখিক পরীক্ষাও নেওয়া হয়। এতে সম্মিলিতভাবে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জনকারীর তালিকায় ১ম হন ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্ত্তী। পরবর্তীতে তাকে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি।

কিন্তু হঠাৎ সেই সিদ্ধান্ত পাল্টে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ২য় স্থান অর্জনকারী ফরিদ আহমদের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মিলন কান্তি দাশসহ কয়েকজন সদস্য গত ২০ জুন ডিজির প্রতিনিধি ও জেলা শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফলাফল সিট পরিবর্তন করেন এবং ২য় স্থান অর্জনকারীকে ১ম স্থানে নিয়ে নিয়োগ প্রদানের ব্যবস্থা করেছেন।

  • শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্ত্তী বলেন, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক উপস্থিত থাকার বিধান থাকলেও তা মানা হয়নি। পরীক্ষায় ১ম হওয়ার পরেও আমার নিয়োগ নিয়ে লুকোচুরি চলছে। এর প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন জানিয়েছি।

উত্তর সাতকানিয়া আলী আহম্মদ প্রাণহরি উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য আবদুর রহিম ও মো. নবী হোসেনের দাবি, নিয়োগ কমিটির ৫ জন সদস্য প্রশ্নপত্র প্রণয়নের কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিত থেকে একজন সহকারী শিক্ষককে দিয়ে প্রশ্ন তৈরি ও উত্তরপত্র মূল্যায়ন করানো হয়েছে। তাদের এ আচরণে প্রতীয়মান হয় যে, নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ফরিদ আহমদকে প্রশ্ন সম্পর্কে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও নিয়োগ কমিটির সদস্য আব্দুল আজিজ সিটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আনোয়ারের সঙ্গে মধ্যস্ততা করে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ২য় প্রার্থীকে নিয়োগ পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন। এ অপচেষ্টা বন্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহযোগীতা চাওয়া হয়েছে।

  • তবে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মিলন কান্তি দাশ বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে পরীক্ষার্থী ফরিদ আহমদকে মনোনীত করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী তাকে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে অপর এক প্রার্থীর অভিযোগের কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত আছে।

সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ-আলম বলেন, প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ার পর সহকারী কমিশনার (ভূমি)-কে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমাদের বাণী ডট কম/২৫ জুন ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।