ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার বহেরা এ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার (৬ জুলাই) নিয়োগের ২য় দফার পরীক্ষা হবার কথা ছিল। গত এপ্রিলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও তা বাতিল করায় ২য় দফার পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়ে অভিযোগ তুলেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর অভিযোগ মোটা অংকের টাকা ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে পরীক্ষা বাতিল করে ফের পরীক্ষা নিচ্ছে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে বলে দৈনিক শিক্ষাকে নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন।

জানা যায়, দেবহাটা উপজেলার ১নং কুলিয়া ইউনিয়নের বহেরা গ্রামের বহেরা এ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে গত ২৫ এপ্রিল নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সে পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পরিষদ।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মোটা অংকের দিতে বিনিময়ে গোপনে অযোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে ১ম দফার পরীক্ষা বাতিল করে ম্যানেজিং কমিটি। পরে পুনারায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ২য় দফার বিজ্ঞপ্তি অনুসারে আগামীকাল ৬ জুলাই প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হবার কথা রয়েছে। অভিযোগে আরও বলা হয়, ২য় দফার নিয়োগ পরীক্ষার দেবহাটার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা প্রশিক্ষণের কারণে দেশের বাইরে থাকবেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন এলাকাবাসী। সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানান তারা।

অভিযোগটি আমলে নিয়ে পরীক্ষা স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল। বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, স্কুলটিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক পরীক্ষা স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। সে প্রেক্ষিতে পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ শেষে ফিরে আসলে নিয়োগ পরীক্ষার পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আসাদুল হোসেন বলেন, পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরে আসলে পরীক্ষা নেয়া হবে। ডিসি সাহেব এমনটাই জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।