বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘আমরা রাস্তাঘাট করছি, ব্রিজ করছি, ফোর লেন করছি, মেট্রোরেল করছি। এগুলো ভালো বিনিয়োগ। কিন্তু এগুলোর মূল্যহ্রাস খুব তাড়াতাড়ি হবে। আরেকটি বিনিয়োগ হলো শিক্ষায় বিনিয়োগ। এটি মর্যাদা দান করবে। আর মূল্যহ্রাসও হবে না। টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই শিক্ষা খাতে বাজেটও আলাদা হওয়া উচিত।’

শনিবার (২৫ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সেমিনারে মূল প্রবন্ধে এসব কথা বলেন তিনি ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উচ্চ শিক্ষায় বাজেট’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান সেমিনারের উদ্বোধন করেন।

মূল প্রবন্ধে আলাদা শিক্ষা বাজেটে উচ্চ শিক্ষাকে গুরুত্ব দেন আতিউর রহমান। তিনি বলেন, আমাদের একটি উচ্চ শিক্ষা কমিশন হওয়ার কথা। এটি যেন তাড়াতাড়ি হয়। শিল্পায়নের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প এবং এসবের উন্নয়নের সরাসরি যোগাযোগ আছে। এগুলোর সঙ্গে আরও সংযোগ কীভাবে করা যায়, তা ভেবে দেখতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক কামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম। আতিউর রহমানের সঙ্গে যৌথভাবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসির পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু ইউসুফ। স্বাগত বক্তব্য দেন ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।