শিক্ষা মন্ত্রণালয় সুখবর দিলো নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের । দুই হাজার সাতশ বাষট্টিটি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য যোগ্য বিবেচিত হয়েছে। আর এগুলো বাস্তবায়ন করতে এক হাজার দুইশ সাতচল্লিশ কোটি টাকা দরকার, যা চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছে, টাকা পেলেই জুনের মধ্যে ঘোষণা হবে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম।

সর্বশেষ ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে ১ হাজার ৬২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল। এরপর থেকে এমপিওভুক্তির দাবিতে ননএমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা আন্দোলন করে আসছেন।

আন্দোলনের মুখে গত বছরের জুলাইয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এমপিওভুক্তির জন্য বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবলকাঠামো ও এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন নেওয়া হয়।

এমপিওভুক্তির জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো শিক্ষা মন্তণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, নীতিমালা অনুযায়ী নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য চারটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে আবেদন নেওয়া হয়। এই মানদণ্ডগুলো হলো প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক স্বীকৃতি, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবং পরীক্ষায় পাসের হার। প্রতিটি মানদণ্ডের জন্য ২৫ নম্বর রাখা হয়।

এতে মোট ৯ হাজার ৬১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবেদন করে। যাচাইয়ের এমপিও নীতিমালা সব শর্ত পূরণ করে যোগ্য প্রতিষ্ঠান হয়েছে ২ হাজার ৭৬২। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীনে স্কুল ও কলেজ, ১ হাজার ৬২৯টি। কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের অধীন মাদরাসা ৫৫১টি এবং কারিগরি প্রতিষ্ঠান ৫৮২টি। এগুলোর জন্য লাগবে মোট ১ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য লাগবে প্রায় ৭২৮ কোটি টাকা। বাকি টাকা লাগবে কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের অধীন প্রতিষ্ঠানের জন্য।

এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতি মাসে বেতন-ভাতা বাবদ সরকারি অংশ (মূল বেতন ও কিছু ভাতা) পেয়ে থাকেন। এ জন্য বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সব সময় এমপিওভুক্তির জন্য সরকারের কাছে মুখাপেক্ষী হয়। বর্তমানে সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে প্রায় ২৮ হাজার। এগুলোতে শিক্ষক-কর্মচারী আছেন প্রায় ৫ লাখ। এর বাইরে স্বীকৃতি পাওয়া ননএমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে সাড়ে ৫ হাজারের মতো। এগুলোতে শিক্ষক-কর্মচারী ৭৫ থেকে ৮০ হাজার। স্বীকৃতি পায়নি এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও আছে আরো কয়েক হাজার। সব মিলিয়ে সাড়ে ৯ হাজার বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, কারিগরি প্রতিষ্ঠান ও মাদরাসা এমপিওপ্রত্যাশী।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।