বরিশাল  সংবাদদাতা; বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ৫ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনের নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ এবং একজনের নমুনার রিপোর্ট এখনো আসেনি। অন্যজন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন গৃহবধূ রয়েছেন।

ডা. বাকির হোসেন জানান, গত ২৫ জুন করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হন বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানা এলাকার মিজানুর রহমানের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪৪)। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন।

একইদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় মারা যান বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শার্শি এলাকার বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ সরদারের ছেলে ইউসুফ সরদার (৩৫)। তাকে গত ২৫ জুন বিকেল সাড়ে ৪টায় ভর্তি করা হয়। করোনা পরীক্ষায় তার নেগেটিভ আসে।

সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে মারা যান বরিশাল নগরীর কাউনিয়া ব্রা রোড এলাকার বাসিন্দা বলয় চাদ দাসের স্ত্রী পুতুর রানী দাস (৬০)। তাকে ২৬ জুুন বেলা ৪টা ৩৫ মিনিটে ভর্তি করা হয়। তার নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন আসেনি।

সকাল ৮টা ১ মিনিটে মারা যান বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রামনগরের বাসিন্দা রকিবুল ইসলামের স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৪০)। তাকে ২৫ জুন বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে ভর্তি করা হয়। তার নমুনায় নেগেটিভ এসেছে।

শনিবার রাত ১১টায় মারা যান পটুয়াখালী জেলা সদরের ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা গনি ভূইয়ার ছেলে কালাম ভূইয়া (৬০)। তাকে গত ২৬ জুন বিকেল সাড়ে ৪টায় ভর্তি করা হয়। তার করোনা রিপোর্টও নেগেটিভ।

এখন পর্যন্ত মেডিকেলের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯১ জন রোগী মারা গেছেন। এর মধ্যে পজেটিভ ৩২ জন।

এদিকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (২৮ জুন ২০২০) তথ্য অনুযায়ী, গত গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৩ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ফলে ভাইরাসটিতে মোট ১৭৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮০৯ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৩৭  হাজার ৭৮৭ । গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৩৪টি আর পরীক্ষা করা হয়েছে পূর্বের মিলে ১৮ হাজার ৯৯টি। শনাক্তের হার ২১.০৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪০৯ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫৫ হাজার ৭২৭ জন। সুস্থতার হার ৪০.৪৪% এবং মৃত্যুর হার ১.২৬ শতাংশ। বয়স বিশ্লেষণে জানা যায়, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৩১-৪০ একজন, ৪১-৫০ সাতজন, ৫১-৬০ ১৩ জন, ৬১-৭০ ১২ জন, ৭১-৮০ সাতজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২১ জন ঢাকা বিভাগের। এরপরই আছে চট্টগ্রাম বিভাগ (১০ জন)।

আমাদের বাণী ডট কম/২৮  জুন ২০২০/পিপিএম 
সৈয়দপুরের বিজ্ঞাপন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।