ঝিনাইদহের শৈলকুপায় তানিয়া ধর্ষণ মামলার সাক্ষি ও বাদীর বিরুদ্ধে পাল্টা অপহরণ ও ধর্ষন চেষ্টা মামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ধর্ষণ মামলার বাদী ইনছান আলী ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে লিখিত ভাবে এই অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগে উল্লখ করা হয় তানিয়া ধর্ষন মামলার আসামী কলেজ ছাত্র রাব্বুল মোল্লার মা টিউলি খাতুন বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন।

আদালতের বিজ্ঞ বিরাচক সিএমএ আলিম আল রাজি মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহন করে শৈলকুপা থানার ওসিকে আগামী ২২ জুলাই তারিখের মধ্যে প্রকৃত ঘটনা তদন্ত পুর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। ইনছান আলী লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ৩১ মে শৈলকুপা যাদবপুর গ্রামের মোঃ ছাব্দুল মোল্যার ছেলে মোঃ রাব্বুল মোল্যা তার প্রতিবন্ধি বোনকে ধর্ষন করে। এ নিয়ে মামলা করার পর ধর্ষক রাব্বুলের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা তুলে নিতে চাপ সৃষ্টি, হুমকী ও আর্থিক সুবিধা দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়।

প্রভাবশালী ধর্ষক পরিবারের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় তারা বাদী ও সাক্ষিদের ঘরবাড়ি ছাড়া করে। মাঝেমধ্যে এলাকায় গেলে ধর্ষক রাব্বুলের পিতা মোঃ ছাব্দুল মোল্লা, চাচা আজিজুর মোল্লা, বিল্লাল মোল্লা, আফাজ মোল্লা ও প্রতিবেশি সদর উদ্দীনসহ সামাজিক দলের লোজন খুন জখমের হুমকি দেয়। গত ১৪ জুন মধ্যরাতে তারা নিজেরাই নিজেদের পরিবারের এক সদস্যের শরীর কেটে ও স্বর্ণলঙ্কার, নগদ টাকা ডাকাতি এবং ধর্ষনের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ দেখিয়ে শৈলকুপা থানায় মিথ্যা অভিযোগ দেয়।

শৈলকুপা থানা তদন্ত করে ঘটনাটি কাউন্টার মামলা ও মিথ্যা হওয়ায় মামলা রেকর্ড করেনি। পরবর্তীতে তারা ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন। ইনছান আলী অভিযোগ করেন, প্রতিবন্ধী ধর্ষিতা বোনের বিচার চাইতে গিয়ে আজ আমরা মিথ্যা মামলার জালে জড়িয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।