ঝিনাইদহের শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা দিলারা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। যার মামলা নং ৫১। শৈলকুপা থেকে প্রকাশিত “সপ্তহীক ডাকুয়া” পত্রিকার সম্পাদক শামিম বিন সাত্তার বাদী হয়ে রোববার মামলাটি করেন। মামলা রেকর্ড হওয়ার পর প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন গাঢাকা দিয়েছেন।

শৈলকুপা থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন। মামলার বাদী শামিম বিন সাত্তার জানান, গত বছর শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিনের দুর্নীতির খবর বিভিন্ন পত্রিকায় ও টিভি চ্যানেলে প্রচারের পর তিনি সাংবাদিকদের উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে স্কুলের নামে পরিচালিত ফেসবুকের আইডিতে একটি মানহানীকর পোষ্ট দেন। তিনি ঝিনাইদহের সর্বজন শ্রদ্ধেয় সিনিয়র সাংবাদিক আসিফ ইকবাল কাজল, ডিবিসি চ্যানেলের ঝিনাইদহ প্রতিনিধি আব্দুর রহমান মিল্টন ও সপ্তহীক ডাকুয়া পত্রিকার সম্পাদক শামিম বিন সাত্তারের ছবি ব্যাবহার করেন এবং কুরুচিপুর্ন ভাষায় নানা মন্তব্য করেন।

এ ঘটনায় সিনিয়র সাংবাদিক আসিফ ইকবাল কাজল ফেসবুকের স্ত্রিনসর্ট নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি জিডি করে। জিডি করার পর ফেসবুক থেকে আপত্তিকর পোষ্টটি সরিয়ে ফেলেন প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন। জিডির তদন্ত করতে গিয়ে প্রাথমিক ভাবে সত্যতা পান শৈলকুপা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী। তদন্ত রিপোর্ট জমা হওয়ার পর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো হয়।

গত ২০ মার্চ পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামানের প্রেরিত পরামর্শ মুলক চিঠির আলোকে সাংবাদিক শামিম বিন সাত্তার বাদী হয়ে রোববার শৈলকুপা থানায় ডিজিটাল আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলাটি করেন। শৈলকুপা থানার ওসি কাজী আইয়ুবুর রহমান জানান, ২০১৮ সালে প্রণিত ডিজিটাল আইন মামলাটি রেকর্ড হয়েছে। আমরা আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি।

আমাদের বাণী-আ.আ.হ/মৃধা

[wpdevart_like_box profile_id=”https://www.facebook.com/amaderbanicom-284130558933259/” connections=”show” width=”300″ height=”550″ header=”small” cover_photo=”show” locale=”en_US”]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।