ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আরিফুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবকের গলাকাটা ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে উপজেলার বড় মৌকুড়ী গ্রামের মাঠের খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। লাশের গলা, হাতের কবজিসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নৃশংস্যভাবে জখমের চিহ্ন রয়েছে।
পুলিশ জানায়, রোববার ভোরে বড় মৌকুড়ী গ্রামের পীরতলা দর্গশরীফ সংলগ্ন ড্রেনেজ খালে ক্ষত-বিক্ষত একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। নিহত ভ্যানচালক আরিফুল ইবি থানাধীন শৈলগাড়ী গ্রামের নিয়ামত আলীর পুত্র। এ ঘটনায় পুলিশ একই থানার বড়ইটুপি গ্রামের মাওলা শেখের পুত্র মিঠুন(২৫) ও ছোটমৌকুড়ী গ্রামের আমিরুল ইসলামের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন(৩৫) কে গ্রেফতার করেছে।
শৈলকুপা থানার ওসি কাজী আয়ুবুর রহমান জানান, রবিবার সকালে উপজেলার বড় মৌকুড়ী গ্রামের পীরতলা সংলগ্ন মাঠের খালের মধ্যে অজ্ঞাত যুবকের লাশ পড়ে আছে এমন সংবাদ স্থানীয়রা জানায়। সেখানে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শেষে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়।
এরপর ঘটনার মূল কারণ খুজে বের করতে পুলিশ মাঠে নেমে পড়ে।  তারই ভিত্তিতে ওইদিন(রোববার) দুপুরে গোপন সংবাদে জানা যায়, উপজেলার ছোট মৌকুড়ী গ্রামের আমিরুলের বাড়িতে মূল আসামী অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বাড়ি থেকে আসামী মিঠুনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। এবং তার তথ্যমতে হত্যার কাজে ব্যবহৃত হাসুয়া বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ের কলাগাছের গোড়ার গর্ত থেকে ও বাড়ির মধ্যে গোয়ালঘরের খড়ের গাদার নিচ হতে ছিনতাইকৃত অটোভ্যান উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, নিহত আরিফুলের সাথে আসামী মিঠুনের পূর্বশত্রুতা ও অটোভ্যানকে গ্রাস করার জন্যই মূলত কৌশলে ডেকে নিয়ে এসে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে আসামী। এঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে  শৈলকুপা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুুতি চলছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।