ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা;   জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব  বলেন, করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে দেশবাসী গভীর উদ্বিগ্ন। লকডাউন বা ছুটির মূল উদ্দেশ্য সফল হয়েছে কিনা তার কোনো মূল্যায়ন না করে সরকার অবিবেচকের মতো তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে যার জন্য জাতিকে চরম মাশুল দিতে হবে।

আজ শুক্রবার (২৯ মে ২০২০) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

  • বিবৃতিতে আ স ম আবদুর রব  বলেন, দেশবাসী প্রতিদিন প্রত্যক্ষ করছে যে, দেশে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এটা এখন শুধু নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্ত জনসাধারণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই; উচ্চবিত্ত, শিল্পপতি কেউই রেহাই পাচ্ছে না। লকডাউন করে করোনা পরিস্থিতির বা লকডাউনের মূল উদ্দেশ্য সফল হয়েছে নাকি ব্যর্থ হয়েছে এনিয়ে কোনো মূল্যায়ন না করেই সরকার অবিবেচকের মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। সরকারের অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্তের জন্য জাতিকে চরম মাশুল দিতে হবে।

তিনি বলেন, লকডাউনের মূল উদ্দেশ্য ছিল করোনার বিস্তার রোধ করা। সে কাজটি গত দু’মাসে মোটেই সুচারুরূপে সম্পাদন করা হয়নি। এককথায় গত দু’মাসের লকডাউন বৃথাই গিয়েছে। লকডাউন প্রত্যাহারের পূর্বে অবশ্যই চিন্তা করা উচিত সংক্রমণ বাড়বে কিনা এবং বর্ধিত সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষমতা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আছে কিনা।

  • তিনি বলেন, এ যদি আমাদের সক্ষমতার মধ্যে থাকে কেবল তখনই লকডাউন প্রত্যাহার বিবেচনা করা যেতে পারতো। এ বিষয়ে সরকার গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সুপারিশ এড়িয়ে যাওয়া একটা ভুল পদক্ষেপ। বিশ্বের সকল দেশে করোনা পরিস্থিতি যখন তাদের অনুকূলে এসেছে, তখনই কেবল তারা লকডাউন প্রত্যাহারে ধাপে ধাপে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। অথচ একমাত্র আমাদের দেশেই যখন করোনায় আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী, তখন সরকার অবিবেচকের ন্যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে।

বিবৃতিতে বিরাজমান পরিস্থিতিতে জরুরি করণীয় চারটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যথেষ্ট সংখ্যক করোনা পরীক্ষা করার জন্য প্রতি জেলায় ল্যাব স্থাপন করতে হবে।

  • জেএসডি সভাপতি বলেন, নিরন্ন মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করতে হবে যাতে তাদের বাইরে বের হবার প্রয়োজন না হয়। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মোতাবেক ধাপে ধাপে লকডাউন প্রশ্নে পদক্ষেপ নিতে হবে। ‘ভঙ্গুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা’ সংস্কারের জন্য অবিলম্বে ‘জাতীয় স্বাস্থ্য কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব দেন তিনি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (২৯ মে ২০২০) তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯টি ল্যাবের মধ্যে নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১২ হাজার ৯৮২টি। নমুনা পরীক্ষা করেছি ১১ হাজার ৩০১টি। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৬৭টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় এই সংগৃহীত নমুনা থেকে শনাক্ত রোগী ২ হাজার ৫২৩ জন। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ৪২ হাজার ৮৪৪ জন। শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৩৩ শতাংশ।’  ‘গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছে ২৩ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু দাঁড়ালো ৫৮২ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। সুস্থ হয়েছে ৫৯০ জন। মোট সুস্থ হয়েছে ৯ হাজার ১৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ০৪ শতাংশ।’

আমাদের বাণী ডট কম/২৯  মে ২০২০/সিসিপি 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।