সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার দুপুর ১টার সময় থেকে শিক্ষার্থীরা অবরোধ শুরু করে। এসময় চারপাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পথচারী ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ মানুষদের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে দেখা গেছে।

এ সময় ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বক্তব্য রাখে।

এর আগে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকেই সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলসহ চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সকাল ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’র ব্যানারে এ বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এসময় অধিভুক্তির কারণে সাত কলেজের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন উল্লেখ করে অবিলম্বে অধিভুক্তি বাতিল করার দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলনকারীদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে থেকেই অধিভুক্ত সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল করতে হবে, দুই মাসের মধ্যে সব পরীক্ষার ফলাফল দিতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশন করতে হবে এবং ক্যাম্পাসে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ এবং রিকশাভাড়া নির্ধারণ করতে হবে।

এসময় তারা স্লোগান দেন, ‘ঢাবির বাস আটকায় কে? প্রশাসন জবাব চাই’, ‘শোন বোন শোন ভাই, ঢাবির কোনো শাখা নাই’ ‘রাখতে ঢাবির সম্মান সাত কলেজ বেমানান’ ইত্যাদি।

আন্দোলনের মুখপাত্র মুহাম্মদ শাকিল মিয়া দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘সাত কলেজের কারণে আমরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তির মুখে পড়ছি। শিক্ষকরা এমনিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন, তার উপর সাত কলেজের এতো পরিমাণ শিক্ষার্থী তারা কিভাবে সামলাবেন?’

তিনি আরও বলেন, ‘সাত কলেজ ঢাবি শিক্ষার্থীদের জন্য অভিশাপস্বরুপ। এ অধিভুক্তির কারণে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা যেমন ভোগান্তির মুখে পড়েছে তেমনি ঢাবি শিক্ষার্থীরাও এর চরম মূল্য দিচ্ছে। তাই আমরা চাই অবিলম্বে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল করা হোক।’

মিথুন আহমেদ নামে ইংরেজী বিভাগের এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, ‘সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা আমাদের বাস আটকিয়ে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, সাত কলেজের কারণে আমরা প্রাপ্য অধিকার থেকেও বঞ্চিত হচ্ছি। পরীক্ষার রেজাল্ট দিতে দেরী হচ্ছে এবং আমরা সেশনজটে আটকে পড়ছি।’

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।