ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা;   সাবেক স্ত্রী নাজিয়া হাসান অদিতিকে নিয়ে কিছু অনলাইন পত্রিকা, ইউটিউব চ্যানেল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের অভিযোগে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় তিনি এই জিডি করেছেন।

সন্ধ্যায় অভিনেতা অপূর্ব আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে লিখেন। সেখানে তিনি লিখেন, গত ২২/৭/২০২০ তারিখ হইতে কিছু ভুয়া অনলাইন পত্রিকা অত্যন্ত জঘন্য একটি মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা ছড়ায়। ইতিমধ্যে প্রায় সবাই জেনে গেছেন সেই ব্যাপারে আমি ঐ সকল অনলাইন পত্রিকা এবং ইউটিউব চ্যানেলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার ঘোষণা দেই। সেই প্রেক্ষিতে অদ্য দুপুরে আমি পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখায় উপস্থিত হয়ে এই নিউজের বিপরীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করি।

আমি আইনের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল একজন ব্যক্তি। অতএব অনলাইনে মিথ্যা, অপ্রাসঙ্গিক ও অনভিপ্রেত সংবাদ প্রকাশের জন্য আমি সাইবার আইনের মাধ্যমেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। সিটিটিসি-সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগের পরামর্শক্রমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় উত্তরা পূর্ব থানায় আমি অভিযোগ দায়ের করলাম। আমি বিশ্বাস করি আমি ন্যায়বিচার পাবো। সেই সাথে এই ঘটনার সাথে যে বা যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্যেও আমি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সংবাদ মাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

দুই দিন আগে অপূর্ব তার ফেসবুকে লিখেন, কোন ধরনের ভনিতা না রেখেই বলছি গত দুইদিন থেকে দেখা যাচ্ছে কিছু কিছু ভুঁই ফোঁড় ধরনের অনলাইন পত্রিকা কোন ধরনের তথ্য প্রমান ছাড়াই আমার সাবেক স্ত্রী নাজিয়া হাসান অদিতি এবং আমার বিচ্ছেদের ব্যাপারে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন।

যা আমার এবং অদিতির জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর। আমি আগেও বলেছিলাম অদিতির সাথে আমি এখন সাংসারিক জীবনে না থাকলেও সে আমার সন্তানের মা।

সুতরাং অদিতির সম্মান নিয়ে বা অদিতির নামের সাথে জড়িয়ে তৃতীয় কারো নাম নিয়ে যে বা যারা কোন ধরনের কোন নোংরা খেলায় মাতবে এদের কাউকেই আমি ছেড়ে কথা বলব না। গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে দেশের একজন দুর্নীতিবাজের সাথে আয়াশের মাকে জড়িয়ে এই ধরনের মিথ্যা এবং কাল্পনিক ঘটনা প্রচার করার জন্য আমি এই দেশের একজন সুনাগরিক হিসাবে এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। শুধু প্রতিবাদই না আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের ঘটনা নিয়ে এই ধরনের নোংরা মিথ্যাচার ছড়ানোর দায়ে আমি এই সকল পত্রিকার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার প্রস্তুতি গ্রহন করেছি যা আজ কালের ভেতরে সম্পন্ন হবে। আমি খুব স্পষ্ট ভাবে বলতে চাই অদিতি আমার স্ত্রী ছিল এবং এখন সে আমার সন্তানের মা। আমার নয় বছরের সাংসারিক জীবনে অদিতিকে নিয়ে আমার কোন ধরনের কোন অভিযোগ নেই এবং ভবিষ্যতেও থাকবেনা। বরং আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ মানুষদের ভেতরে অদিতি একজন যাকে আমি আজীবন সম্মান করে যাব। তার সাথে এইটাও বলতে চাই অদিতির যেকোন সম্মানহানিকর ব্যাপারে আমি এভাবেই ওর পাশে থাকব। আমি আবারো বলছি অদিতি আমার স্ত্রী না থাকলেও সে আমার সন্তানের মা। সুতরাং আয়াশের মায়ের বিরুদ্ধে কোন ধরনের কোন ষড়যন্ত্র বা নোংরামিকে আমি মেনে নিব না। গোয়েন্দা সংস্থার নাম ভাঙ্গিয়ে অদিতি এবং আমাকে জড়িয়ে এই ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার চালানো অনলাইন পত্রিকাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য আমি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। সেই সাথে আবারো বলছি এই ধরনের কুরুচিপুর্ন মিথ্যা কল্পকাহিনী ছড়ানোর দায়ে আমি ঐ সকল অনলাইন পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি। আমি আরো স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই যে বা যারা এই নোংরা খেলার সাথে জড়িত তাদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করে আমি আইনের আওতায় আনব। আমি আশা করব মূল ধারার গণমাধ্যম গুলি আমাকে এই ব্যাপারে সত্য প্রকাশ করে সহায়তা করবেন। কারণ দীর্ঘ সময় মিডিয়াতে কাজ করার সুবাধে তাদের কাছে আমার এই দাবি থাকতেই পারে।

আমাদের বাণী ডট কম/২৫ জুলাই ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।