সনদ জালিয়াতি করে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগে নোয়াখালীর সুবর্ণ চর উপজেলার চর আমান উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র মজুমদারের এমপিও বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সাথে তার এমপিও কেন স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে না তার কারণ জানতে চেয়ে প্রধান শিক্ষককে শোকজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে শিক্ষা অধিদপ্তরে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়।

জানা গেছে, নোয়াখালীর সুবর্ণ চর উপজেলার চর আমান উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র মজুমদারের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতির অভিযোগ উঠলে তা আমলে নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অভিযোগটি আমলে নিয়ে, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিআইএ) অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। অভিযোগটি তদন্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে প্রতিবেদন দাখিল করেছে ডিআইএ।

ডিআইএর তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, নারয়ণ চন্দ্র মজুমদার ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দের ১ এপ্রিল চর আমান উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এ সময় নীতিমালা অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের যোগ্যতা হিসেবে প্রার্থীর স্নাতকসহ বিএড খাকার বিধান ছিল। কিন্তু নিয়োগের সময় প্রধান শিক্ষকের বিএড সনদ ছিল না। নারয়ণ চন্দ্র মজুমদার ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দের ১ এপ্রিল সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করলেও ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের বিএড সনদ অর্জন করেন। ফলে তার নিয়োগ বৈধ হয়নি বলে তদন্ত প্রতিবেদনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

এ প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে চর আমান উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র মজুমদারের এমপিও বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এছাড়া অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়ায় কেন তার এমপিও স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে না তা জানতে চেয়ে প্রধান শিক্ষককে শোকজ করতে বলা হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।