বুধবার আলাদা করে একটি মামলা করেছে ভারতের নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো। নার্কো বিভাগও এই ঘটনার আলাদা করে তদন্ত করবে। ঘটনায় মাদকসেবন, ড্রাগ সম্পর্কিত কোনও যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা।

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর সঙ্গে সম্প্রতি জড়িয়ে গিয়েছে ড্রাগ বা মাদকসেবনের প্রসঙ্গ। কয়েকদিন আগে ইডি এই ঘটনার তদন্তে নেমে সুশান্তকে ড্রাগ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হত এমন চাঞ্চল্যকর ইঙ্গিত পাওয়ার পরই এই ঘটনায় আসে হয় ড্রাগের যোগ। সুশান্তের পারিবারিক আইনজীবীও এ নিয়ে এফআইআরে উল্লেখ করেছেন। তাঁদের দাবি, সুশান্তকে কন্ট্রোল করার জন্য অতিরিক্ত মাদক দেওয়া হত। সে কারণেই তিনি ডাক্তার ও মনোবিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।

সম্প্রতি মিডিয়াকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে আইনজীবী বিকাশ সিং দাবি করেছেন, আমাদের এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে যে সুশান্তকে ওভারড্রাগড করা হত। আমাদের বলা হয়েছিল যে এগুলি ডাক্তার বা মনোবিদের দেওয়া। তবে পরে যা জানা গিয়েছে তা বিস্ফোরক। হয়তো তাঁকে মাদকাসক্ত করে রাখা হত। অর্থাৎ, তাঁকে এমন ড্রাগ দিয়ে নেশাগ্রস্ত করে রাখা হত যাতে তাঁকে সহজেই কেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

বিকাশ সিং আরও দাবি করেছেন, সুশান্তের কর্মী জানিয়েছেন সুশান্ত ঘুমিয়ে থাকতেন এবং রিয়া অন্য ফ্লোরে পার্টি করতেন। বিকাশ সিং এ নিয়ে দাবি করেছেন, এটা একেবারেই পরিষ্কার যে সুশান্তের সঙ্গে যা করা হয়েছে তা একেবারেই বেআইনি এবং অপরাধমূলক। এই ড্রাগগুলি তাকে দেওয়া হয়েছে নিয়ন্ত্রণ এবং চুপ করানোর জন্য। বাড়ির কাজের লোকেরাও সেটাই বলেছেন। বেশিরভাগ সময়ই সুশান্ত ঘুমোতেন। ওঁর একটা ডুপ্লে ছিল। ষষ্ঠ ও সপ্তম তল। সুশান্ত একটি ফ্লোরে ঘুমোতেন এবং বাড়ির অন্য ফ্লোরে পার্টি চলত। তাই তাঁকে মাদকাসক্ত করে রাখা হত একদম ঠিক। তাঁকে এমন আসক্ত করে রাখা হত যে সেটিই তাঁকে শেষ করে দিয়েছে।

নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর নজরে রয়েছেন সুশান্তের গার্লফ্রন্ড রিয়া চক্রবর্তী। পাশাপাশি, ইডির দাবি যে বেআইনি ড্রাগ কারবারিদের সঙ্গে রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট তাদের হাতে পড়েছে, যা রিয়া ডিলিট করেছিলেন। অভিযুক্ত রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে পাওয়া গিয়েছে, গৌরব আর্য নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ড্রাগ ও গাঁজা কিনতেন। জয়া সাহা নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে রিয়ার হোটাসঅ্যাপে পাওয়া গিয়েছে, ‘৪ ড্রপ চা, কফি বা জলের সঙ্গে মিশিয়ে ওকে দাও। ৩০-৪০ মিনিট সময় দাও কাজ শুরু হতে।

 

আমাদের বাণী ডট কম/২৭আগস্ট ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।