চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট (মার্কশিট) ও প্রশংসাপত্র আটকে রেখে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বরিশালের মুলাদীতে। উপজেলার মুলাদী সরকারি মাহমুদজাহান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের থেকে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা করে আদায় করছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

উপজেলার মুলাদী সরকারি মাহমুদজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রতি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা আদায় করছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়ায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তির জন্য বাধ্য হয়েই বিদ্যালয়ের ধার্য্যকৃত টাকা দিয়ে একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও প্রশংসাপত্র নিচ্ছে।

পৌর এলাকার তেরচর গ্রামের শিক্ষার্থীর অভিভাবক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তার ছেলে মুলাদী সরকারি মাহমুদজান মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৯ সালে এসএসসি পাস করেছে। গত ১৯ জুন বিদ্যালয়ে একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও প্রশংসাপত্র আনতে গেলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দীন হাওলাদার তার কাছে ৬০০ টাকা দাবি করেন।

তিনি জানান, শিক্ষাবোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট নেয়ায় কোনো ফি না লাগায় তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক প্রশংসাপত্রের নামে কোনো রশিদ ছাড়াই ৫০০ টাকা নেন।

চরডিক্রী গ্রামের মহিউদ্দীন সিকদার জানান, তার মেয়ের একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও প্রশংসাপত্রের জন্য সরকারি মাহমুদজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬০০ টাকা দিতে হয়েছে। এ বিষয়ে মুলাদী সরকারি মাহমুদজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দীন হাওলাদার জানান, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও প্রশংসাপত্র প্রদানের সময় কারও কাছে টাকা চাইতে হয় না। সবাই খুশি হয়ে ৫০০-৬০০ টাকা দিয়ে যায়। একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট বোর্ড থেকে আনতে টাকা লাগে এবং প্রশংসাপত্র ছাপানোর জন্য টাকা খরচ হয়।

বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, শিক্ষার্থীদের ট্রান্সক্রিপ্ট ও প্রশংসাপত্র বিতরণে টাকা-পয়সা লেনদেনের বিষয়ে ইতোপূর্বে প্রধান শিক্ষককে সতর্ক করা হয়েছে। এরপরেও টাকা নেয়ার বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।