জামালপুরের মাদারগঞ্জে স্ত্রী ও সন্তানকে হারুনুর রশিদ পলাশ নিজেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করেছেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। 

জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমারানী সরকার জানান, গৃহবধূ মুসলিমা আক্তার শিখা ও তার তিন বছরের ছেলে তাওহীদ হত্যার ঘটনায় পলাশ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহামেদের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

জবানবন্দিতে পলাশ বলেন, প্রতিবেশী রোজিনা আক্তারের সঙ্গে তার ৩ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। বছর খানেক আগে তার স্ত্রী ঘটনাটি জেনে ফেলেন। পরে তিনি বিষয়টি তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে জানান। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য কলহ চলছিল। এ অবস্থার মধ্যেও রোজিনা তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রোজিনা মোবাইল ফোনে  হুমকি দিয়ে বলেন বিয়ে না করলে তিনি অঘটন ঘটাবেন। ওই রাত ২টার দিকে পলাশ বাড়িতে ফিরে স্ত্রী-সন্তানকে ঘুমে দেখতে পান। এ সময় তিনি একটি বটি দিয়ে প্রথমে স্ত্রী শিখার বুকে কোপ দেন। পরে বালিশ চাপা দিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে ওই দা দিয়েই ছেলেকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করেন।

পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, পলাশ ও রোজিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আমাদের বাণী ডট কম/২৮ আগস্ট ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।