কুমিল্লা সংবাদদাতা; জেলার নগরীর চকবাজার ও কচুয়াসহ জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো তিনজন মৃত্যুবরণ করেছেন। এনিয়ে জেলায় মোট ৩৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (০৪ জুন ২০২০)  কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এ সব তথ্য জানানো।

  • কুমিল্লা নগরীতে মৃতদের দাফন-কাফন করেছে সামাজিক সংগঠন বিবেক। গত ২৪ ঘন্টায় কুমিল্লায় নতুন করে আরো ১০৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ২৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে ২৫ জনসহ এ পর্যন্ত ১৮৪ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন।

জানা যায়, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ১৭ জন, চৌদ্দগ্রামে ১১ জন, মুরাদনগরে ১৩ জন, চান্দিনায় ১৩ জন, লাকসামে সাতজন, তিতাসে ছয়জন, হোমনায় পাঁচজন, দাউদকান্দিতে চারজন, আদর্শ সদরে সাতজন, বুড়িচংয়ে ১৩ জন, বরুড়ায় তিনজন, নাঙ্গলকোট ও মেঘনায় দুইজন করে এবং দেবিদ্বার ও মনোহরগঞ্জে একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

  • কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা: মো: নিয়াতুজ্জামান জানান, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকার চকবাজার ও কচুয়ায় দুইজন, কুমিল্লার মুরাদনগরে একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ২৫ জন আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়েছেন। তাদের মধ্যে দেবিদ্বারে ১৭জন, দাউদকান্দিতে চারজন, তিতাসে তিনজন এবং চান্দিনায় একজন সুস্থ হয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (০৪ জুন ২০২০) তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৫ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ফলে ভাইরাসটিতে মোট ৭৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৪২৩ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৭ হাজার ৫৬৩ জনে।৫০টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৭৮৮টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৬৯৪টি। আক্রান্তের হার ১৯.০৯ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৭১ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১২ হাজার ১৬১ জন। সুস্থতার হার ২১.১৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৩৬ শতাংশ। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানানো হয়, পুরুষ ২৯ জন ও নারী ছয়জন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ২২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৯ জন, সিলেট বিভাগের একজন, রাজশাহী বিভাগের একজন, বরিশাল বিভাগের একজন ও খুলনা বিভাগের একজন। বয়স বিশ্লেষণে জানা যায়, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৩১-৪০ একজন, ৪১-৫০ তিনজন, ৫১-৬০ ১৪ জন, ৬১-৭০ ১১ জন, ৭১-৮০ দুইজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ২২ জন, বাড়িতে ১২ জন ও হাসপাতালে আনার পথে একজন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ৩৮৬ জনকে। আইসোলেশন থেকে ছাড় দেয়া হয়েছে ১৩০ জনকে।

আমাদের বাণী ডট কম/০৪ জুন ২০২০/সিসিপি

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।