ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা;  করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা এখনো আগের মতোই আছে। আজও তাকে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্যের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (জনসংযোগ) ফরহাদ হোসেন।

  • আজ শনিবার (০৬ জুন ২০২০) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জাফরুল্লাহর শারীরিক অবস্থা আগের মতোই আছে। অক্সিজেন কমে যাওয়ায় তাকে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। তিনি সকালে নাস্তাও করেছেন।’

গতকাল (শুক্রবার) রাতে তাকে এক ব্যাগ প্লাজমা দেওয়া হয়েছে এবং ডায়ালাসিসও করা হয়েছে বলেও জানান গণস্বাস্থ্যের এই প্রশাসনিক কর্মকর্তা। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো প্লাজমা থেরাপি নিলেন ডা. জাফরুল্লাহ।

  • এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার জানান, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। অবস্থা ভালো না।’

ডা. জাফরুল্লাহ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভালো ছিলেন জানিয়ে মহিবুল্লাহ বলেন, ‘অক্সিজেন সাপোর্ট ছাড়াই তিনি স্বাভাবিক ছিলেন। তবে শুক্রবার কোনোভাবেই অক্সিজেন ছাড়তে পারছে না। সার্বক্ষণিক অক্সিজেন সহায়তার ওপর আছেন। আমরা তাকে সাপোর্টিভ ট্রিটমেন্টের ওপর রেখেছি। এতে তার শরীর কীভাবে সাড়া দিচ্ছে, তা পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে বিশেষ কোনো কিছু করছি না।’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতার জ্ঞান আছে এবং তিনি কথা বলতে পারছেন বলেও গতকাল জানান মহিবুল্লাহ।

  • উল্লেখ্য, গত ২৫ মে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট দিয়ে পরীক্ষাতেই তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরপরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পিসিআর পরীক্ষাতেও তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তার স্ত্রী শিরীন হক ও ছেলে বারিশ চৌধুরীরও করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী,  দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩০ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ফলে ভাইরাসটিতে মোট ৭১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৮২৮জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল৬০ হাজার ৩৯১ জনে। ৫০টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৬৪৫টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৮৮টি। আক্রান্তের হার ২০.০৭ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬৪৩ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১২ হাজার ৮০৪ জন। সুস্থতার হার ২১.২০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৩৪ শতাংশ। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানানো হয়, পুরুষ ২৩ জন ও নারী সাতজন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১২ জন, সিলেট বিভাগের তিনজন, রাজশাহী বিভাগের দুইজন, বরিশাল বিভাগের একজন ও রংপুর বিভাগের একজন। বয়স বিশ্লেষণে জানা যায়, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৪১-৫০ সাতজন, ৫১-৬০ ১১ জন, ৬১-৭০ ছয়জন, ৭১-৮০ দুইজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ১৭ জন এবং বাড়িতে ১৩ জন।

আমাদের বাণী ডট কম/০৬ জুন ২০২০/সিসিপি

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।