ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন দুরারোগ্য মরণব্যাধি পাকস্থলী ক্যান্সারে আক্রান্ত শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান। তাকে বাঁচাতে প্রয়োজন ১০ লাখ টাকা। কিন্তু দরিদ্র এ শিক্ষক পরিবারের পক্ষে এতো টাকা খরচ করে তার চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। আর তাই তাকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ নিজের সক্ষমতা অনুযায়ী সকলকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছে তার পরিবার।

জানা গেছে, ১৯৮৩ সালে বিএসসি পাশ করেন মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান। ১৯৮৪ সালে পটুয়াখালীর শেয়াকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক হিসেবে চাকরি জীবন শুরু করেন তিনি। ওই বিদ্যালয়ে সুনামের সাথে ৮ বছর চাকরি করেছেন তিনি। পরে ১৯৯২ সালে একই পদে আমতলী উপজেলার চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের যোগদান করেন। ওই সময় থেকে সুনাম ও সুখ্যাতির সাথে তিনি শিক্ষকতা করে আসছেন। শিক্ষকতা জীবনে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর জীবন আলোকিত করেছেন তিনি। আজ তারই জীবন মরণব্যাধি পাকস্থলী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে অন্ধকারাছন্ন। তার অন্ধকার জীবনকে আলোকিত করতে পরিবার সর্বস্ব হারিয়েছে।

২০১৭ সালে অসুস্থ হয়ে হওয়ার পর তাকে প্রথমে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে বিভিন্ন পরীক্ষায় মরণব্যাধী পাকস্থলী ক্যান্সার ধরা পড়ে। ওই হাসাপাতালের চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেন। এরপর গত দুই বছরে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে সর্বস্ব হারিয়ে ফেলেছে তার পরিবার।

শিক্ষক ছিদ্দিকুর রহমানকে বাঁচাতে ভিটে মাটি বিক্রি করে এ বছর ফেব্রুয়ারী মাসে ভারতের ভেলোরের সিএমসি হাসপাতালে নিয়ে যায় তার পরিবার। ওই হাসপাতালে তিনি একমাস চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে প্রযোজনীয় অর্থের অভাবে ওই হাসপাতাল থেকে দেশে ফিরে আসেন তিনি। বর্তমানে ঢাকার ধানমন্ডি আহম্মদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে কেমোথেরাপীর পরামর্শ দিয়েছেন। একটি কেমোথেরাপী দিতে প্রায় ৭০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। চিকিৎসকরা তাকে ৮ টি কেমোথেরাপী দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। নিজের চিকিৎসার পিছনে এখন পর্যন্ত তার পরিবার প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয় করেছে।

তাকে বাঁচাতে এখন বর্তমানে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন। দরিদ্র এ শিক্ষকের পক্ষে এতো টাকা ব্যয় করে চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। শিক্ষক ছিদ্দিকুর রহমানের ছয়টি সন্তান। দুই ছেলে ও চার মেয়ে। এর মধ্যে তিন মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। দুই ছেলে ও এক মেয়ে ছোট। বাবার এ দুরাবস্থার কারণে তাদের লেখাপড়া প্রায় বন্ধ।

চিকিৎসার অর্থ জোগাতে গিয়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন এ শিক্ষক। খেয়ে না খেয়ে এ শিক্ষককে বাঁচাতে চেষ্টা চালাচ্ছে তার পরিবার। এখন আর এতো খরচ চালিয়ে তার চিকিৎসা করাতে পারছেন না তারা। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সমাজের বিত্তশালী মানুষ, তার দেশ বিদেশের ছাত্র-ছাত্রীসহ নিজের সক্ষমতা অনুযায়ী সকলের কাছে আর্থিকভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি। সাহায্য পাঠানোর জন্য যোগাযোগ: ০১৮১৩৫০৯৮৬৬।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।