চট্টগ্রাম সংবাদদাতা;  দেশের মানুষকে করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করছেন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বয়স ৭৪ বছর। একটি দিন তিনি বসে নেই। প্রতিদিন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে মিটিং করছেন- নানা নির্দেশনা দিচ্ছেন।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তার (প্রধানমন্ত্রী) কাজের সবগুলো তো আর টেলিভিশনে দেখানো হয় না। আরও অনেক কাজ- যেগুলো তিনি করছেন, সেগুলো আমরা অনেকেই জানি না। একটি দিনও তিনি বসে নেই। তার এই নেতৃত্ব ব্যতিরেকে এই মহামারী মোকাবিলা করা কখনও সম্ভব নয়।’

আজ শুক্রবার (১৭ জুলাই ২০২০) বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে আয়োজিত দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ এস আলম গ্রুপের অর্থায়নে হাসপাতালে করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা সামগ্রী প্রদান এবং চট্টগ্রাম মেরিন সিটি হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী এইসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা ভাইরাস আমরা যেভাবে মোকাবিলা করেছি, করোনা ভাইরাসের প্রকোপ অন্তত আমরা আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে সক্ষম হয়েছি।

চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালে ৫টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা হস্তান্তর করছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ‘অনেকে অনেক সমালোচনা করেন। যারা সমালোচনা করছেন, তারা টেলিভিশনে উঁকি দিয়ে দিয়ে সমালোচনা করছেন। ঘর থেকেও বের হন না। ঘরের মধ্যে বসে টেলিভিশনে উঁকি দিয়ে সমালোচনা করেন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে স্বাস্থ্যখাতে জেকেজি-রিজেন্টকে সরকারই উদ্ঘাটন করেছে। কোনো পত্রিকার রিপোর্টের প্রেক্ষিতে এটি উদ্ঘাটন হয়নি। বা বিরোধীদল বলেছে- সেই কারণে এটি উদ্ঘাটন হয়নি। সরকারই এটা করেছে।

‘সরকার এইখানে যাতে কোনো অনিয়ম দূর্নীতি না থাকে- সেই জন্য এই কাজটি করেছে। অবশ্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের এই ব্যাপারে আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিলো বলে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি। কিন্তু সরকারই এটি উদ্ঘাটন করেছে।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ করোনার প্রাথমিক পর্যায়ের চিকিৎসা স্বল্পতা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। এখন আইসিইউ বেড ও হাসপাতালে জেনারেল বেড খালি থাকে। অক্সিজেনসহ অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জামের অপ্রতুলতা দূর হয়েছে। করোনার চিকিৎসা ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারের পাশাপাশি অনেক ব্যক্তি ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান করোনার চিকিৎসায় এগিয়ে এসেছেন। যেখানে স্বামীর মরদেহ স্ত্রী ধরছেন না, বাবার সৎকারে ছেলে আসছেন না সেখানে অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান জাতি, ধর্ম, বর্ণ ভেদ না করে মৃত ব্যক্তিদের সৎকার করছেন। তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই। ধন্যবাদ তাদের প্রাপ্য।

আমাদের বাণী ডট কম/১৭  জুলাই ২০২০/পিপিএম

সৈয়দপুরের বিজ্ঞাপন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।