পঞ্চগড়ে স্বামীর নির্যাতনের কারণে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়া এক নারীকে আট বছর ধরে লোহার শেকলে বেঁধে রাখা হয়েছে। দুই সন্তানের জননী করসিনা আক্তার নামের এই নারী সদর উপজেলার সাতমেড়া ইউনিয়নের হড়েয়াপাড়া গ্রামের কলিমউদ্দিনের মেয়ে। স্বামীর নির্যাতনের কারণেই ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।

জানা যায়, করসিনার স্বামী ৬ বছর আগে তাকে তালাক দেয়। তার দুই সন্তান তার স্বামীর বাড়িতেই থাকে। বর্তমানে সে বাবার বাড়িতে শেকল পড়া অবস্থায় জীবন পার করছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, করসিনার বাম পায়ে লোহার শেকল পড়িয়ে ঘরের খুঁটিতে তালা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। এর আগে ডান পায়ে শেকল ছিল। সেখানে ক্ষতের সৃষ্টি হলে বাম পায়ে শেকল দেওয়া হয়। এভাবে পা বদলিয়ে দিনের পর দিন আটকিয়ে রাখা হয় তাকে। স্বাভাবিকভাবে কেউ করসিনাকে দেখলে সুস্থই মনে করবেন। কথা বলতে চাইলে গুছিয়ে কথাও বলেন। বাবা মাসহ নিজের এবং ছেলে মেয়েদের নামও লেখতে পারেন সুন্দর করে। তবে অজ্ঞাত কারণে মাঝে মধ্যেই মারমুখী হয়ে উঠেন তিনি। সুযোগ পেলেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে দূরে কোথাও চলে যান। কখনো কখনো রেগে গিয়ে সামনে কাউকে পেলেই মারপিট করেন।

করসিনার পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে সুস্থ ও মেধাবী ছিলেন করসিনা। দশম শ্রেণিতে লেখাপড়া করার সময় তেঁতুলিয়া উপজেলার মানিকডোবা গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে আবুল হোসেনের সঙ্গে তাকে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর শুরুতে কোন সমস্যা ছিল না। এর মধ্যে একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন করসিনা। এরপর শুরু হয় তাও উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। নির্যাতনের মধ্যেই এক যুগের বেশি সময় সংসার করেন তিনি। পরে একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন সে।

দ্বিতীয় সন্তানের মা হওয়ার পর থেকে সামান্য রাগারাগি হলে স্বামীর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যেতো। এক সময় তাকে পাগল আখ্যা দিয়ে পায়ে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখেন স্বামী আবুল হোসেন। সংসার জীবনের শেষের দুই বছর তাকে নির্যাতনের পাশাপাশি কখনো বেঁধে রাখেন, কখনো ঘরে আটকিয়ে রাখতেন তার স্বামী, জানান তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, করসিনার বাম পায়ে লোহার শেকল পড়িয়ে ঘরের খুঁটিতে তালা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। এর আগে ডান পায়ে শেকল ছিল। সেখানে ক্ষতের সৃষ্টি হলে বাম পায়ে শেকল দেওয়া হয়। এভাবে পা বদলিয়ে দিনের পর দিন আটকিয়ে রাখা হয় তাকে। স্বাভাবিকভাবে কেউ করসিনাকে দেখলে সুস্থই মনে করবেন। কথা বলতে চাইলে গুছিয়ে কথাও বলেন। বাবা মাসহ নিজের এবং ছেলে মেয়েদের নামও লেখতে পারেন সুন্দর করে। তবে অজ্ঞাত কারণে মাঝে মধ্যেই মারমুখী হয়ে উঠেন তিনি। সুযোগ পেলেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে দূরে কোথাও চলে যান। কখনো কখনো রেগে গিয়ে সামনে কাউকে পেলেই মারপিট করেন।

করসিনার পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে সুস্থ ও মেধাবী ছিলেন করসিনা। দশম শ্রেণিতে লেখাপড়া করার সময় তেঁতুলিয়া উপজেলার মানিকডোবা গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে আবুল হোসেনের সঙ্গে তাকে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর শুরুতে কোন সমস্যা ছিল না। এর মধ্যে একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন করসিনা। এরপর শুরু হয় তাও উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। নির্যাতনের মধ্যেই এক যুগের বেশি সময় সংসার করেন তিনি। পরে একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন সে।

দ্বিতীয় সন্তানের মা হওয়ার পর থেকে সামান্য রাগারাগি হলে স্বামীর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যেতো। এক সময় তাকে পাগল আখ্যা দিয়ে পায়ে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখেন স্বামী আবুল হোসেন। সংসার জীবনের শেষের দুই বছর তাকে নির্যাতনের পাশাপাশি কখনো বেঁধে রাখেন, কখনো ঘরে আটকিয়ে রাখতেন তার স্বামী, জানান তারা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।