কোটা ব্যবস্থা বাতিলের পরও মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রয়েছে বলে যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছিল তা দূর করেছে সরকার। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে (৯ম থেকে ১৩তম) নিয়োগের ক্ষেত্রে বর্তমানে কোনো কোটা বহাল নেই।

তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে (১৪তম থেকে ২০তম পর্যন্ত) কোটা বহাল রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট কোটার প্রার্থী না পাওয়া গেলে সাধারণ প্রার্থীর মেধা তালিকা থেকে তা পূরণ করতে হবে।

কোটার বিষয়ে স্পষ্ট করে সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

ওই চিঠিতে বলা হয়, গত বছরের ৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কোটা বাতিলের পরিপত্রে বলা হয়, সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত/আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন কর্পোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকার ১৯৯৭ সালের ১৭ মার্চের পরিপত্রের কোটা পদ্ধতি নিম্নোক্তভাবে সংশোধন করেছে- নবম গ্রেড (আগের প্রথম শ্রেণি) এবং দশম থেকে ১৩তম গ্রেডের (আগের দ্বিতী শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে।

পাশাপাশি এসব পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল জারি করা স্মারক অনুযায়ী, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ কোটায় (মুক্তিযোদ্ধা, মহিলা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, এতিম ও শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা সদস্য) কোনো পদ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে পূরণ করা সম্ভব না হলে অপূর্ণ পদগুলো জেলার প্রাপ্যতা অনুযায়ী স্ব-স্ব জেলার সাধারণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করতে হবে।

কিন্তু কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারির পরও মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল আছে বলে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। এই প্রেক্ষিতে বিষয়টি স্পষ্ট করে চিঠি দিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

পরিপত্র জারির আগে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষিত কোটা ৫৬ শতাংশ। বাকি ৪৪ শতাংশ নেয়া হতো মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে।

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা দেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।