ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা;  নতুন অর্থ বছরের বাজেট দিয়ে করোনা দুর্যোগ থেকে উত্তরণ ঘটানো যাবে না জানিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দ জানান,  পাশ হওয়া বাজেট ধনী বিত্তবানদেরকে অন্যায় ও অনৈতিক সুবিধা দিয়েছে, সেই সাথে করোনা পরীক্ষার ফী নির্ধারণের কারণে সংক্রমন আরো বিস্তৃত হবার আশঙ্কা তৈরী করেছে।

আজ বুধবার (০১ জুলাই ২০২০) সকালে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের অনলাইন মিটিং এ পার্টির নেতৃবৃন্দ একথা বলেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন , গতকাল জাতীয় সংসদে চুড়ান্তভাবে পাশ হওয়া নতুন অর্থবছরের বাজেট দিয়ে করোনা মহামারীজনীত দুর্যোগের উত্তরণ ঘটানো যাবে না। এক অভুতপূর্ব দুর্যোগের সময়েও বাজেটে ধনী, বিত্তবান ও লুন্ঠনপ্রিয় অংশকে তুষ্ট করার নীতি বরাদ্দ অব্যাহত রাখা হয়েছে। মহামারীর এই কঠিন সময়েও সরকারের রাজস্ব ব্যয় বৃদ্ধি, সামরিক খাতসহ অনুৎপাদনশীল খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি অব্যাহত রাখা হয়েছে। কালো টাকা ও অবৈধ অর্থ সম্পদ উদ্ধার করার পরিবর্তে অনৈতিক ও অন্যায়ভাবে তাদেরকে আবার নানাভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে। বিত্তবানদের বিরাট আয় ও সম্পদের উপর বর্ধিত কর আরোপ না করে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তাদেরকে বরং বাড়তি সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।

অনলাইন মিটিং এ নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তি এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী নানা অংমের জোরালো দাবি সত্ত্বেও বাজেটে মহামারী পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে স্বাস্থ্য-চিকিৎসা, কৃষি-গ্রামীণ খাত, কর্মসংস্থান, ৮ থেকে ১০ কোটি মানুষের কাছে খাদ্য ও নগদ অর্থ পৌঁছানোর মত জরুরী বিষয়সমূহ প্রয়োজনীয় মনোযোগ ও গুরুত্ব পায়নি। জাতীয় সংসদে বিরোধী দলসমূহের গুরুত্বপূর্ণ কোন প্রস্তাবও বিবেচনায় নেয়া হয়নি। নেতৃবৃন্দ বলেন, এই বাজেটে সামষ্টিক অর্থনীতিতে শৃঙ্খলার পরিবর্তে অনিয়ম, দুর্নীতি ও নৈরাজ্যের পরিসর আরো বৃদ্ধি করবে; অর্থ ও সম্পদের কেন্দ্রীভবন ও পুঞ্জিভবন আরো জোরদার করবে। নেতৃবৃন্দ, ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন বাংলাদেশে কেবল গত এক বছরেই কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে ৮২৭৬ জন। যা আগের চেয়ে ১১% বেশী। তারা বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে নতুন অর্থবছরের বাজেট এই ধারাকে কেবল আরো জোরদার করবে। তারা বলেন, আর বাজেট ঘাটতির শেষ চাপও এসে পড়বে সাধারণ স্বল্প আয়ের মানুষের উপর। নেতৃবৃন্দ এই বাজেট প্রত্যাখান করেন এবং দুর্যোগ উত্তরণে সংশোধিত বাজেট প্রণয়নের দাবি জানান।

পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এর সভাপতিত্বে রাজনৈতিক পরিষদের এই অনলাইন মিটিং এ আরো বক্তব্য রাখেন রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু ও আনছার আলী দুলাল।

সভায় গৃহীত এক প্রস্তাবে করোনা পরীক্ষার ফী নির্ধারণের তীব্র সমালোচনা করে বলা হয় এর ফলে সংক্রমন আরো বৃদ্ধি পাবে। তারা অবিলম্বে করোনা পরীক্ষার ফী বাতিল করার দাবি জানান। একই সাথে প্রস্তাবে বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিল ও পানির মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করারও দাবি জানান।

নেতৃবৃন্দ আগামীকাল ২ জুলাই বাম গণতান্ত্রিক জোটের দেশব্যাপী বিক্ষোভ সফল করারও আহ্বান জানান।

আমাদের বাণী ডট কম/০১ জুলাই  ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।