কুমিল্লার দেবিদ্বারে রাস্তা থেকে ফুসলিয়ে এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে মসজিদের এক ঈমামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মো. মাহফুজুর রহমান (২১) নামে ওই ইমামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উপজেলার ছোট শালঘর দক্ষিণ পাড়ার বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদের পাশে ইমামের থাকার ঘরে শনিবার এ ঘটনা ঘটে।
বর্তমানে ওই কিশোরী দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্ত ইমাম দেবিদ্বার উপজেলার ভিরাল্লা গ্রামের (আবুল বাড়ির) মো. সাইদুল ইসলাম ছেলে এবং দেবিদ্বার থানাধীন ছোট শালঘর দক্ষিণ পাড়ার বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এ ঘটনায় কিশোরীর ভ্যান চালক বাবা অভিযুক্ত মো. মাহফুজুর রহমানকে আসামি করে শনিবার দেবিদ্বার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই ইমাম ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ওই কিশোরীর বাবা বলেন, আমাদের পুরনো বাড়িতে যাওয়া-আসার পথে প্রায় সময়ই ওই ইমাম আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত ও কুপ্রস্তাব দিত। শনিবার সকালে বাড়িতে যাওয়ার পথে ওই ইমাম রাস্তা থেকে ডেকে মসজিদের পূর্বপাশে থাকার রুমে নিয়ে গিয়ে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে।
ভিকটিমের মা জানান, ওই কিশোরী বাড়ি গিয়ে তার মায়ের কাছে ঘটনা বললে তিনি দ্রুত মেয়ের বাবাকে জানান। পরে মেয়েকে নিয়ে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান বাবা।
কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মেয়েটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে আসলে আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করি। মেয়েটির যৌনাঙ্গে রক্তক্ষরণ হয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আলম হাজারী বলেন, খবর শুনে ঘটনাস্থলে যাই, সেখানে অভিযুক্ত ইমামের কাছে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করেন। পরে দেবিদ্বার থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে দুপুরের দিকে ইমামকে গ্রেপ্তার করে।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, ওই কিশোরী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ইমাম মাহফুজুর রহমান ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।
আমাদের বাণী-আ.আ.হ/মৃধা