ঢাকাঃ ফ্লু ও করোনাভাইরাস- বাংলাদেশে দুটোই একসঙ্গে চলছে। করোনা হলে হাঁচি হয় না, ফ্লুয়ের হয়। করোনায় নাক দিয়ে সর্দি পড়ে না, ফ্লু হলে পড়ে। এগুলো দেখে বোঝা যায়, করোনা নাকি ফ্লু হয়েছে।

আজ রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে দেশের একটি গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অণুজীববিজ্ঞানী এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেন কিট আবিষ্কারক দলের প্রধান ড. বিজন কুমার শীল।

তিনি বলেন, ‘এখন সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়েছে বাংলাদেশে যে, ফ্লু ও করোনাভাইরাস একই সঙ্গে চলছে। এখনকার জ্বর কী জ্বর, তা পার্থক্য করা বিশেষ প্রয়োজন। বর্ষার সময় যে ফ্লু হওয়ার কথা ছিল, সেটা হয়নি বাংলাদেশে। কিন্তু এখন হচ্ছে। জ্বর চেনা যাবে কীভাবে? ফ্লু চেনার সহজ উপায় হচ্ছে, হাঁচি হবে এবং নাক দিয়ে পানির মতো সর্দি পড়বে। করোনাভাইরাসে এই দুটোর একটাও হয় না। করোনায় হাঁচিও হবে না, নাক দিয়ে পানিও পড়বে না। এগুলো হলো করোনা ও ফ্লুকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করার উপায়।’

বাংলাদেশ থেকে আজ সিঙ্গাপুরে চলে যাওয়া ড. বিজন কুমার শীল বলেন, ‘তবে একজনের দুটোই হতে পারে। যার করোনা হয়েছে, তার ফ্লু হতে পারে। যার ফ্লু হয়েছে, তারও করোনা হতে পারে।’

উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুর থেকে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন ড. বিজন। তিনি গণবিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান হিসেবে শিক্ষকতা করছিলেন। গত জুলাইয়ে তার ওয়ার্ক ভিসার মেয়াদ শেষ হয়।

এরপর ভিসার জন্য আবেদন করলেও সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো উত্তর দেয়া হয়নি। ফলে কাজ করতে না পেরে এক ধরনের বাধ্য হয়ে দেশ ছাড়েন ড. বিজন। ওয়ার্ক ভিসার অনুমতি পেলে তিনি আবার বাংলাদেশে কাজে ফিরতে পারবেন।

২০০২ সালে সিঙ্গাপুর সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন ড. বিজন কুমার শীল। সিঙ্গাপুরের নিয়ম অনুযায়ী চাকরি নেয়ার পর বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব নিতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।

আমাদের বাণী ডট কম/২০ সেপ্টেম্বর/বিবিবার

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।